দেশজুড়ে

উত্তাপ কমতে শুরু করেছে খুলনার বাজারে

প্রচণ্ড উত্তাপ ছড়ানো খুলনার বাজারগুলোতে দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যের। মুরগি, মাছসহ কমেছে সবজির দামও। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা পেঁয়াজের দামও কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। কাঁচা মরিচের দামও অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

Advertisement

শনিবার (২৭ মে) নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার, চানমারী বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে জানা গেলো, বাজারে নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছিল পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের। ৮০ টাকার নিচে মিলছিল না কোনো পেঁয়াজ। আর কাঁচামরিচ করেছিল ডাবল সেঞ্চুরি। সেই পেঁয়াজ গতকাল ৭০ টাকা আর কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আলুর দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির কথা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই কেজিতে কমে যায় পাঁচ টাকা, আর এখন আরও পাঁচ টাকা কমে ৭০ টাকা হয়েছে। অনেকে আবার আরও পাঁচ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকাতেও বিক্রি করছেন।

বাজার ঘুরে আরও জানা যায়, কাঁচা মরিচ বাজারে নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পচনশীল। তবুও গত দুই সপ্তাহ আগে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু একটু বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কম করে হলেও ১০০ টাকা কমেছে।

Advertisement

নগরীর বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বাজারে ঝিঙে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০, ঢেঁড়স ৪০, পটল ৩০, বরবটি ৫০, কচুর লতি ৬০, কাঁচকলা হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০, করলা ৭০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০, খিরা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আলু এখনো ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল বলেন, গত ২০ মে’র বাজারে শিম ৬০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা (প্রতি পিস), করলার কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৭০, পেঁপে ৪০, ঝিঙে ৬০, কচু ৬০, কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

জোড়াকল বাজারের এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবকিছুর দাম এখন একটু কম। যে সবজি কিনতে চাচ্ছি তাতেই দেখছি কেজিতে ৫/১০ টাকা কম।

নগরীর জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা লিপু বলেন, গত সপ্তাহে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকায়। তার দাম এখন কেজিপ্রতি ১৯০ টাকা। এছাড়া কক ৩০০ টাকা, সোনালি ৩১০ টাকা ও পাকিস্তানি ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে, বৃষ্টির দোহাই দিয়ে মাছের দাম বাড়িয়ে দেওয়া দোকানিরাও কমিয়েছেন দাম। জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা মেরাজ বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে মাছের আমদানি কম ছিল। কিন্তু এখন বাজারে মাছের আমদানি দিনকে দিন বাড়ছে। তাই দামও একটু কমেছে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি কমেছে এতদিন দামবৃদ্ধির ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা চিংড়ির দাম। সব ধরনের চিংড়ির দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এখন বাজারে ৫০০ টাকা হলেই ভালোমানের হরিণা চিংড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বাগদা চিংড়ির দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, তেলাপিয়া মাছের দাম কমে ১৮০ টাকা, পাঙাশ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, টাকি ২০০ টাকা, পুঁটি মাছ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি কই, শিং ও মাগুর মাছের দামও একটু কমেছে। দেশি মাছের দাম কমে যাওয়ায় সামুদ্রিক মাছের দামও ক্রেতার নাগালে চলে এসেছে।

আলমগীর হান্নান/এমআরআর/এমএস