বাজারে এখন পাকা আম বেশ সহজলভ্য। চলছে মধুমাস। এখনই সময় তৃপ্তি করে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ মৌসুমী ফল খাওয়ার। তবে এ মৌসুমে সব ধরনের ফলের মধ্যে আম বেশি জনপ্রিয়। এজন্যই তো একে ফলের রাজা বলা হয়।
Advertisement
একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে ও হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাই যাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। অন্যদিকে যাদের হাড়ের সমস্যা আছে তাদের জন্যও আম বেশ উপকারী একটি ফল।
আরও পড়ুন: কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চেনার ৫ উপায়
তবে পাকা আম খাওয়ার ভুলেও হতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। অনেকেই আম ঠিকমতো না ধুয়ে খাওয়া শুরু করেন, এতে বদহজমসহ মুখে ব্রণের সমস্যাও কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। তাহলে কী করণীয়?
Advertisement
এ বিষয়ে ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. দিক্ষা ভাবসার সাভালিয়া তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন, খাওয়ার আগে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আম ভিজিয়ে রাখুন।
View this post on InstagramA post shared by Dr Dixa Bhavsar Savaliya (@drdixa_healingsouls)
ভিজিয়ে রাখলে এতে থাকা অতিরিক্ত ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়। ফাইটিক অ্যাসিড হলো একটি অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট যা শরীরকে কিছু খনিজ যেমন- আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ শোষণে বাধা দেয়। ফলে এসব খনিজের ঘাটতি হয় শরীরে।
আরও পড়ুন: আম খাওয়ার পর যে ৫ খাবার খেলে হতে পারে বিপদ
Advertisement
যখন আম কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়, তখন পুষ্টি আরও ভালো শোষণের সুবিধা দেয়। ভেজানো আম খেলে ব্রণ, ত্বকের সমস্যা, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ হয়।
এই বিশেষজ্ঞ আরও জানান, আম শুধু ফল হিসেবেই খাবেন। এটিকে কোনো খাবারের সঙ্গে মেশাবেন না। যে কোনো খাবারের সঙ্গে আম মেশালে অন্ত্রে ইফরমেন্টেশন তৈরি করতে পারে, যা ব্রণসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা বাড়ায়। এছাড়া হজমের সমস্যাও বাড়ে আমের সঙ্গে অন্য খাবার খেলে।
তাই খাবারের অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে বা পরে আম খান। শরীর ঠান্ডা রাখতে ও রিফ্রেশিং ড্রিংকস হিসেবে আমের সঙ্গে ১ চা চামচ তুলসীর বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীর আরও ঠান্ডা হবে ও ব্রণ প্রতিরোধ হবে।
জেএমএস/এএসএম