বিশেষ প্রতিবেদন

অনলাইনে র‌্যাবের সেবা চায় সাধারণ মানুষ

রাজধানীতে প্রতিদিনই ঘটছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। চুরি-ছিনতাই কিংবা পণ্য হারানোর মতো ঘটনা। ভুক্তভোগীরা যে কোনো ধরনের ঘটনার শিকারের পর পরই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কিংবা মামলা করছেন। অধিকতর তদন্তের জন্য ভুক্তভোগীরা জিডি কিংবা মামলার কপি দিচ্ছেন এলিট ফোর্স র‌্যাবের কাছে। তবে এই কপিগুলো স্বশরীরে র‌্যাবের কাছে জমা দিতে হয়। র‌্যাব অন্যান্য বাহিনী থেকে অনেকটাই আধুনিক। তাদের কাজটাও আধুনিক। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের আরো ডিজিটাল হওয়ার অনুরোধ সাধারণ জনগণের। সশরীরে গিয়ে নয় বরং ফেসবুকে কিংবা অনলাইনেই যাতে র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকে, সেই প্রত্যাশা সবার। মিজানুর রহমান নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে জানান, কোন অপরাধের অভিযোগ করতে থানায় যাওয়া তো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। র‌্যাবের উপর সবার নির্ভরতা অনেক বেশি। র‌্যাব যদি অনলাইনে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা রাখে, তাহলে  জনসম্পৃক্ততা আরো বাড়বে। এটি হবে একটি যুগান্তকারী এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। আহসানুর রহমান নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান আধুনিক যুগে সবাই সবকিছু ঘরে বসে করতে চায়। ঘরে বসে কেউ যদি জিডি অথবা মামলার কপির ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে খুবই ভালো হয়। ভুক্তভোগীদের অনেকটা সময়ও বাঁচবে। ২০০৪ সালের ২৬ শে মার্চ সরকার, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে গঠন করা হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সে বছরের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। একই বছরের ২১ জুন থেকে ফোর্সেস পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে বাহিনীটি। অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ, বিস্ফোরক উদ্ধার, সন্ত্রাসী গ্রেফতার করা, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষায় অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা, অপরাধ ও অপরাধীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সরকারি আদেশ অনুসারে যে কোন অপরাধের তদন্তের কাজ করে র‌্যাব। তবে অনলাইন যোগাযোগে এখনো ততটা শক্তিশালী হতে পারেনি বাহিনীটি। শুধুমাত্র নিজস্ব ওয়েবসাইটের (www.rab.gov.bd) কন্ট্যাক্টে দেশের ১৪টি ব্যাটালিয়নের কন্ট্রোল রুম, ডিউটি অফিসার, ক্যাম্পের নম্বর দেয়া রয়েছে। র‌্যাব অনলাইন মিডিয়া সেল নামে ফেসবুকে একটি পেইজ রয়েছে। তবে পেইজটির সঙ্গে কোন জনসম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র নিজেদের অর্জন আর এ সংক্রান্ত সংবাদগুলো পোস্ট দেয়া হয় পেইজটি থেকে।সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতেও অনলাইনে যোগাযোগের বিষয়টি চালু রাখা হয়েছে। ইমেইলে পাসপোর্ট, পরিচয়পত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হারানো, মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তথ্য, ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তি, জনসাধারণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা আছে এমন কোন অবৈধ সমাবেশ সম্পর্কে আগাম তথ্য, পারিবারিক, দারোয়ান, কেয়ারটেকার, নৈশপ্রহরী নিয়োগ-পলায়ন কিংবা নতুন ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য দেয়া যায় এখানে। এমনকি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) থানা এলাকায় জিডি এবং পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দেয়া যায় অনলাইনে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইয়ংযের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ফেসবুকে কিংবা অনলাইনে সবসময় তথ্য দেয়া নিরাপদ নয়। কেউ চাইলে স্ব স্ব ব্যাটালিয়নে অভিযোগ দিতে পারেন। এআর/জেএইচ/পিআর

Advertisement