আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এই এগিয়ে যাওয়ার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু। প্রযুক্তি পেছনে ফেলে দিচ্ছে সেগুলোকে। প্রযুক্তির কল্যাণে একদিকে যেমন পরিশ্রম কমেছে; অন্যদিকে বিলুপ্ত হচ্ছে অনেক কর্মসংস্থান। তেমনই একটি পেশা ঠেলাগাড়ি চালানো।
Advertisement
গৃহস্থবাড়ির মালামাল আনা-নেওয়া, ভারী জিনিসপত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানোর অন্যতম বাহন ঠেলাগাড়ি। আজ থেকে ১৫ বছর আগেও বাহনটি ছিল বহুল প্রচলিত।
ঠেলাগাড়ির আধিক্য এত বেশি ছিল যে, সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত মোটরবিহীন যানটি। সেই সড়কগুলো এখন দখল করে নিয়েছে ইঞ্জিনচালিত যান। সে সময় ঠেলাচালকদের ইউনিয়নও ছিল। কিন্তু আজ সেই ইউনিয়নের নামও শোনা যায় না।
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া শৈশবের খেলাধুলা
Advertisement
ঠেলাগাড়ি এখন বিলুপ্তির পথে। মোটরচালিত ভ্যান, ইজিবাইক, মিনি ট্রাকের দখলে ঠেলাগাড়ির জায়গা। ফলে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঠেলাগাড়ি চালানোর পেশা পরিবর্তন করেছেন অনেকে।
একসময় মানুষ কাজ না পেলে অন্তত ঠেলাগাড়ি চালিয়ে রোজগার করত। অনেকে পৈতৃক পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছিলেন। আজ তারা অন্য পেশায়।
একদিকে এটি যেমন বিরল; অন্যদিকে ঠেলাগাড়ি এখন কেউ ভাড়া নিতে চান না। সবাই চান দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করতে। সেজন্য ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের প্রতি ঝুঁকছে সবাই। কম সময় লাগায় ঠেলাগাড়ির প্রতি অনীহা জন্মেছে সবার।
আরও পড়ুন: বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাহন পালকি
Advertisement
আগে ঠেলাগাড়িতে ইট-বালুও পরিবহন করা হতো। কিন্তু এখন বিক্রেতারা সরাসরি ট্রাক বা অন্য ইঞ্জিনচালিত যানবাহনে মালামাল পাঠিয়ে দেন। গায়ে খেটে কষ্ট করতে চান না কেউ। তাই প্রযুক্তির যুগে হারিয়ে গেছে অযান্ত্রিক এই বাহন। এখন এর দেখা মেলে কেবল জাদুঘরে।
এসইউ/জিকেএস