দেশজুড়ে

এক নজরে মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খান ও জায়েদা খাতুন

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪৮০টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

Advertisement

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন বলে নগরজুড়ে আলোচনা রয়েছে। এক নজরে এই দুই প্রার্থী সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

আজমত উল্লা খান

ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগ ও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন আজমত। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রায় ৫৮ বছরের। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ বছর তিনি টঙ্গী পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। গাজীপুর মহানগর গঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

আজমত উল্লা খান ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি টঙ্গী পৌরসভার ভরান এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালে এসএসসি, ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এলএলবি ও ১৯৭৮ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি টঙ্গী পৌরসভার মেয়র থাকাকালে দেশের শ্রেষ্ঠ মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি পান।

জায়েদা খাতুন

জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় নিজেকে গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। তার জন্ম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি। তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা যান। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েরে জননী।

Advertisement

মনোনয়নপত্র দাখিল করার আগে জায়েদা খাতুনকে রাজনীতিতে দেখা যায়নি। মূলত ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজকে ভিত্তি করেই তিনি রাজনীতিতে আসেন। স্থানীয়রা বলছেন, ছেলের পরিচিতির কারণে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আলোচনায় আছেন।

আরও পড়ুন: আলাদা চ্যালেঞ্জ নয়, সব ইলেকশনই সমান গুরুত্বপূর্ণ: ইসি রাশেদা

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৮ ও নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৩ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মো. আমিনুল ইসলাম/এমআরআর/এএসএম