গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
Advertisement
এবার এই সিটিতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
এর আগে নির্বাচনের প্রচারণা মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টায় শেষ হয়। নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে ইভিএম মেশিন ও প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সব কেন্দ্রেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
আরও পড়ুন: আলাদা চ্যালেঞ্জ নয়, সব ইলেকশনই সমান গুরুত্বপূর্ণ: ইসি রাশেদা
Advertisement
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন ও কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৩ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে রয়েছে-পুলিশ, র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
গাজীপুর সিটি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ১৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৫৭টি মোবাইল টিম রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় ১৩ হাজার পুলিশ-র্যাব-বিজিবি-আনসার
Advertisement
এদিকে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে। এছাড়া ১৯ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে সজাগ থাকবে।
এমএইচআর/এএসএম