নতুন প্রজন্মের সাত বিমা কোম্পানির বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এরইমধ্যে তদন্ত করে এই সাত বিমা কোম্পানির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম পেয়েছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তার প্রেক্ষিত্রে কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষকে ডেকে শুনানিও করা হয়েছে।
Advertisement
এখন কোম্পানিগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে না পারলে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আইডিআরএ’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সাত কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
নিয়মের মধ্যে আনতে এই সাত বিমা কোম্পানিকে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সে সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মঙ্গলবার (২৩ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এতে বলা হয়েছে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্যবসায় উন্নয়ন ও বিমা খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কয়েকটি লাইপ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম তদন্ত করা হয়।
এ তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ২ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আলফা ইসলামী লাআফি ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে আইডিআরএ’র শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানি সভায় আইডিআরএর চেয়ারম্যান, সদস্যরা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিমা কোম্পানিগুলোর পক্ষে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তাসহ (সিএফও) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানিগুলোকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—
Advertisement
> দ্বিতীয়বর্ষে পলিসি নবায়নের হার ৭০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
> তামাদি পলিসির সংখ্যা বা হার কমাতে হবে।
> গাড়ি সংক্রান্ত ব্যয় কমাতে হবে।
> ৩০ শতাংশ ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমাতে হবে (কমিশন বাদে)।
> কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে লাইফ ফান্ড বাড়াতে হবে।
> গ্রস প্রিমিয়াম আয় বাড়াতে হবে।
> দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ করে বিমা দাবি পরিশোধের হার বাড়াতে হবে।
> বিনিয়োগ রিটার্নের হার বাজার সুদের হারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে।
আইডিআরএ’র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ‘এই বিমা কোম্পানিগুলোকে কঠোর নাজরদারির মধ্যে রাখা হবে। কোম্পানিকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো কোম্পানি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।’
এমএএস/এএএইচ/এএসএম