লাইফস্টাইল

ব্রেকআপের পর না কেঁদে যে ৫ কাজ করা জরুরি

ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কারও কাম্য নয়। সম্পর্ক কয়েক মাসের হোক কিংবা বহু বছরের, বিচ্ছেদের পর সবাই ভেঙে পড়েন। তখন মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন অনেকেই। কেউ কেউ তো ব্রেকআপের পর আত্মহত্যাপ্রবণও হয়ে ওঠেন, আবার কেউ কেউ কেঁদে ভাসান।

Advertisement

যদিও প্রাক্তনকে ভোলা সহজ নয়, তবে নিজের জীবনকে তো আর থামিয়ে রাখা সম্ভব নয়। ব্রেকআপের পর পরিবার ও কর্মক্ষেত্রেও সেই প্রভাব পড়ে গুরুতরভাবে। তবে যারা বিচ্ছেদের পরও নিজেকে স্বাভাবিক ছন্দে মেলে ধরেন, তারাই হলেন বুদ্ধিমান।

আরও পড়ুন: দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যা যা করা জরুরি 

চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেকআপের পর কেঁদে কেঁদে নিজের বেহাল দশা না করে ৫টি কাজ করুন, দেখবেন বিচ্ছেদের স্মৃতি আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে না ও নিজেকে শক্ত রাখতে পারবেন।

Advertisement

পছন্দের কাজ করুন

জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। মন ভালো না থাকলে প্রিয় কাজগুলো করুন। শরীরচর্চা করলে শুধু শরীর নয়, মনও ভালো থাকে।

নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণ বাড়ে ও কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মন খারাপ থাকলেই ব্যায়াম করুন, দেখবেন দূর হবে হতাশা ও বিষণ্নতা।

আরও পড়ুন: প্রথম দেখায় কি সত্যিই প্রেম হয়?

Advertisement

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

মানসিক অবসাদে অনেকেই ভুল খাবার অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলেন। এ সময় মুখরোচক ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে আগ্রহ বাড়ে সবারই। এক্ষেত্রে যন্ত্রণা ভুলতে অনেকেই বেশি খেয়ে ফেলেন। ফলে অনেকে মুটিয়েও যান।

অনিয়মিত এই জীবনযাপন শরীরের আরও ক্ষতি ডেকে আনে। বিচ্ছেদের কষ্ট সাময়িক। তা কাটিয়ে উঠে নিজেকে ভালো রাখতে চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত ঘুমান

মন অশান্ত থাকলে ঘুমও ঠিকঠাক হয় না। বিচ্ছেদের কারণ উদ্বেগ থাকায় অনেকে রাত জেগে প্রাক্তনকে মনে করেন ও কাঁদেন।

আরও পড়ুন: প্রেমে জড়াতে চান না বেশিরভাগ পুরুষই, বলছে গবেষণা 

তবে ঘুম হলে শারীরিক জটিলতাও বাড়তে পারে। যদি রাতে ঘুম না হয়, তাহলে কিছুক্ষণ যোগাসন করুন কিংবা পছন্দের গান শুনুন বা বই পড়ুন।

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান

বিচ্ছেদের পর বেশিরভাগ মানুষই একাকী থাকতে পছন্দ করেন। তবে এটি ভুল অভ্যাস। কঠিন সময়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি।

বিশ্বস্ত এমন কারও সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান ও নিজের দুঃখ শেয়ার করুন। খুব ভালো হয়, যদি বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। তাই মন ও মেজাজ ভালো হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: স্বামী হিসেবে সেরা যে ৫ গুণের পুরুষরা 

মনোবিদের সাহায্য নিন

যদি আপনি প্রাক্তনকে একেবারেই না ভুলতে পারেন ও অনিয়মিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে মনোবিদের সাহায্য নিন।

শারীরির সমস্যা সারাতে যেমন চিকিৎসকের সাহায্য লাগে, তেমন মনের জটিল সমস্যা সারাতে দরকার হয় মনোরোগবিদের। বিশেষ কিছু থেরাপির মাধ্যমে আপনি দ্রুতই ব্রেকআপের ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

জেএমএস/জিকেএস