মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে প্রতিবেদন দাখিলের চার বছরেও বিদেশিকর্মী সম্পর্কিত নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ সম্পর্কিত কমিটি পূত্রজায়াকে অনুরোধ করেছে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে। কমিটি চায় জরুরিভাবে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হোক।
Advertisement
‘ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’ এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ গঠিত কমিটি আহ্বান করেছিল যেন নিয়োগকর্তা, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি এবং এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি বিদেশি কর্মীর অপব্যবহার বন্ধ করে।
বিদেশিকর্মী সম্পর্কিত নীতিসমূহ সঠিক করার জন্য একটি কমিটি যে সুপারিশ প্রণয়ন করেছিল তারা গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে। কমিটি চার বছর আগে যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছিল সেগুলো এখনও বহাল আছে।
মন্ত্রিপরিষদে প্রতিবেদন দাখিলের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে এক স্টেটমেন্টে এসব বলা হয়। মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদেশিকর্মী নিয়োগ সম্পর্কিত দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিদেশিকর্মী ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত স্বতন্ত্র কমিটিও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, বিদেশিকর্মী রিক্রুটমেন্ট (বাছাই), এমপ্লয়মেন্ট (কর্মে নিয়োগ) এবং দেশে ফেরত পাঠানো অবশ্যই সঠিক, স্বচ্ছ এবং ন্যায়ানুগ হতে হবে।
Advertisement
এছাড়া কমিটি প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে প্রকাশ এবং জরুরিভাবে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি বর্তমানে অফিসিয়াল গোপনীয় আইনের অধীনে গোপন রাখা হয়েছে।
এতে প্রতিবেদনে ৪০টি সুপারিশ আছে যেগুলোতে দ্রুত পরিবর্তন ও সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে সার্ভিস প্রোভাইডার (এজেন্ট) নিয়োগে দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি নির্মূল করা।
তাছাড়াও কর্মী বাছাই, কর্মে নিয়োগ ও নিয়োগকর্তা এবং এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি কর্তৃক বৈধ ও অবৈধ সকল বিদেশি কর্মীর অপব্যবহার বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল।
তৎকালীন পাকাতান হারাপান জোট সরকারের মন্ত্রিপরিষদ (ড. মাহাথির নেতৃত্বে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিশামউদিন ইউনূসকে প্রধান করে একটি কমিটি করে দেয় ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। কমিটি প্রাথমিক সুপারিশগুলো তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদিন ইয়াসিনের এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলা সেগারানের কাছে উপস্থাপন করে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে।
Advertisement
এরপর কমিটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদের কাছে উপস্থাপন করে ২০১৯ সালের ২২ মে। কুলা বলে, একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এই প্রতিবেদন দাখিলের আগে বিদেশি কর্মীদের বেতন, কর্মীদের অধিকার সুরক্ষা যেমন বিদেশি কর্মীদের আবাসন শর্ত দেখা জাতীয় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছিল।
কমিটি মালয়েশিয়ার বিদেশিকর্মী নিয়োগের ১৫টি উৎস দেশের সঙ্গেও বৈঠক করে কর্মীদের সুরক্ষা তথা বাছাই, নিয়োগ, কাজ, বেতন, ভাতা, আবাসন, বৈধকরণ, গ্রেফতার, হয়রানি, চিকিৎসা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, ভিসা পেতে বিড়ম্বনা, জিম্মি করে রাখা, নির্বিঘ্নে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেছিল বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
এমআরএম/জিকেএস