তাজিন আহমেদ ছিলেন একজন অভিনেত্রী, উপস্থাপক, সাংবাদিক এবং লেখক। ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই নোয়াখালী জেলায় জন্ম তার। তবে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন পাবনা জেলায়। ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তাজিন আহমেদ।
Advertisement
নাট্যাঙ্গনে কাজ করার পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজে যুক্ত হন। ১৯৯৭ সালে প্রথম আলোতে সাংবাদিকতা শুরু করেন ও ১৯৯৮ সালে ‘নিজস্ব প্রতিবেদক’ হন। তিনি আনন্দ ভুবন পত্রিকায় কিছুদিন কলাম লেখক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডে যোগ দেন।
অভিনয়ে আসেন ‘শেষ দেখা শেষ নয়’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি অসংখ্য নাটক-টেলিছবিতে কাজ করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত নাটক ‘নীলচুড়ি’তে অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিলেন তাজিন আহমেদ। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য নাটক- শেষ দেখা শেষ নয়, নীলচুড়ি, বন্ধন, অদেখা ভুবন, উৎস, নলবাজি, পরস্পর, দ্য ফ্যামিলি, বার বার ফিরে আসে, ও বন্ধু আমার, মা, নকশাল, তোমার খোলা হাওয়া, অতঃপর বিবাহবার্ষিকী, সাত পৌরে কাব্য, এক আকাশের তারা, বিদেশি পাড়া ইত্যাদি।
অভিনয় ও উপস্থাপনার বাইরে লেখালেখির কাজও করেছেন। তার লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘যাতক’ ও ‘যোগফল’ নামে দুটি নাটক। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম, অনুর একদিন, এক আকাশের তারা, হুম, সম্পর্ক ইত্যাদি।
Advertisement
১৯৯১ সালে বিটিভির ‘চেতনা’ নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থাপনা শুরু করেন। এনটিভিতে প্রচারিত ‘টিফিনের ফাঁকে’ অনুষ্ঠানে টানা ১০ বছর উপস্থাপনা করেছেন তিনি। একাত্তর টিভিতেও ‘একাত্তরের সকালে’ হাজির হয়েছেন তিনি। ২০০৩ সালে সেরা টিভি অভিনেত্রী বিভাগে ৩২তম বাচসাস পুরস্কার পান। ২০১৮ সালের ২২ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
কেএসকে/জিকেএস