জাতীয়

ফেলে দেওয়া বর্জ্যই হবে সম্পদ: মেয়র আতিক

সংগৃহীত বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্প চালু হলে ফেলে দেওয়া বর্জ্যই সম্পদে পরিণত হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হবে, শহর হবে পরিবেশবান্ধব।

Advertisement

রোববার (২১ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে চীনের বেইজিংয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় ডিএনসিসির জায়গায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট তৈরি হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিএমইসি) সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএনসিসি। চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আশা করছি আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করার জন্য। ডিএনসিসিতে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এ বর্জ্য থেকে দিনে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা উৎপাদন করতে পারবো, যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ডিএনসিসিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এটা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন>> পড়ে আছে ১৬ কোটি টাকার বর্জ্য শোধনাগার) https://www.jagonews24.com/country/news/845046

আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশ যত উন্নত হবে বর্জ্য তত বাড়বে। এ বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করে, ক্ষতিকারক মিথেন গ্যাস তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জটিলতা, পরিবেশদূষণ কিছুই আর থাকবে না।

বেইজিংয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা আজকে বেইজিংয়ের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছি। খুবই চমৎকার ব্যবস্থাপনা। এটা থেকে বাতাসে যা ছাড়া হচ্ছে তাতে ইউরোপীয়ান মানদণ্ড মানা হচ্ছে। এটা পরিবেশের জন্য কোনো প্রকার ক্ষতিকারক নয়। পরিবেশ ভালো রাখার জন্য দারুণ ব্যবস্থাপনা।

আরও পড়ুন>> উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করতে চায় ফিনল্যান্ড

Advertisement

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রকল্প হাতে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে। সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজটি হচ্ছে, যা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমরা সবাই প্রকল্পটিকে একটি জায়গায় নিয়ে এসেছি।

চীনের বেইজিংয়ে প্রকল্প পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান প্রমুখ।

এমএমএ/ইএ/জিকেএস