গাজীপুর সিটি করপোরেশ নির্বাচনের দিকে কেবল দেশের মানুষই নয়, বিদেশিরাও তাকিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
Advertisement
রোববার (২১ মে) বিকেলে শহীদ বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, শুধু দেশের মানুষ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ও সংস্থাগুলো গাজীপুরের নির্বাচনের দিকে তাঁকিয়ে আছে যে, নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী ২৫ তারিখ পুরো জাতি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্বে অনেকগুলো বড় বড় দেশ আপনাদের দিকে, ভোটারদের দিকে এবং প্রার্থীদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমাদের দিকে কেউ তাকাবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশের দিকেও কেউ তাকাবে না। আপনারা কেমন পারফর্ম করছেন, কেন্দ্রে কেমন দায়িত্বপালন করছেন সেটা দেখেই আপনারা যেমন প্রশংসিত হবেন আমরাও সেটার ভাগ হিসেবে একটা পাবো। আমরা পুরোটা পাবো না। নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন আপনি। আপনার অধীনে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পুলিশ বলেন, বিজিবি বলেন, র্যাব বলেন সবাই আপনার নিয়ন্ত্রনাধীন। এটা মনে রাখতে হবে। বুথের ভেতরে সমস্ত শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং যারা পোলিং এজেন্ট থাকবেন তাদের।
Advertisement
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হলে আইনশৃংখলা বাহিনীকে খবর দেবেন তারা না পারলে বিজিবি, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন। তারাও যদি কেন্দ্রে শৃঙ্খলা আনতে না পারেন তবে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখবেন। আর যদি দেখেন কেন্দ্রের শৃঙ্খলা একদমই আনা সম্ভব নয়, তবে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে দেবেন এবং বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি। তারা আমাদের ওয়াদা দিয়েছেন, এখানে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা করার দরকার তার সব ব্যবস্থা তারা নেবেন। সেক্ষেত্রে কোনোরকম আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। আপনার নিরপেক্ষতা ও আপনার দক্ষতা ৯০ ভাগ কেন্দ্রের সমস্যার সমাধান করে দেবে।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, ভোটকক্ষে যারা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্টাফ তারা ছাড়া অন্য কোনো লোক প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকী কোনো পুলিশ অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেটও না, বিজিবি, র্যাব তারাও না। শুধুমাত্র ভোটার এবং ভোটের দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা সেখানে প্রবেশ করবেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি যদি আহ্বান করেন তবেই তারা প্রবেশ করবেন। তার আগে নয়। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে যেসব সাংবাদিককে কার্ড দেওয়া হবে কেবলমাত্র তারাই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং তারাই সেখানে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কার্ডের পেছনে লেখা আছে সাংবাদিকরা কী করতে পারবেন আর কোনটা পারবেন না।
মতবিনিময় সভায় রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
মো. আমিনুল ইসলাম/এমআরআর/জিকেএস