নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
Advertisement
আজ একটা দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে- আমেরিকার আরও স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) আসছে। এবার রাজনীতিবিদরাও তালিকায় থাকছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত যে পত্রিকা লিখেছে, তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করুন। এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতা: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। গত ৫১ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা ট্রেনিংসহ নানান সহায়তা দিয়ে আসছেন। সেই সহায়তা অব্যাহতও আছে। আমরা যেটা মনে করি, যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন, তাদের সহযোগিতায়ই বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচণ্ড প্রোফাউন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার।’
Advertisement
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্যাংশনস-পাল্টা স্যাংশনস, এগুলো দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। কয়েক দশক ধরে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। কই ইরানের সরকার তো পড়ে যায়নি। ইরানের সরকার বহাল তবিয়তে আছে। তারপর কিউবার বিরুদ্ধে স্যাংশনস ছিল বহু বছর। কিউবাকে টলাতেও পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাইল দূরেই তো কিউবা। কিউবার সরকার পরিবর্তনও হয়নি।’
আরও পড়ুন: বাড়তি নিরাপত্তার এখন প্রয়োজন নেই, তাই প্রত্যাহার: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে বহু স্যাংশনস। মিয়ানমারেও তো সরকার পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধেও বহু স্যাংশনস। সেই স্যাংশনস অমান্য করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাদের (রাশিয়া) কাছ থেকে আমদানি করছে। ভারতও করছে, অনেকেই করছে...তো এগুলো (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে খুব একটা লাভ হয় না।’
আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম
Advertisement