রাজনীতি

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েই সরকারকে বিদায় করা হবে: মোশাররফ

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। দেশের মানুষ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে বিদায় করতে হবে। সেটার দায়িত্ব বিএনপিরই।’

Advertisement

শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজারের সামনে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে দুপুরের জনসমাবেশ শুরু হয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বর্গতির জন্য দেশের মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। আওয়ামী লীগ নেতারা সিন্ডিকেট করে দেশের অর্থনীতির ধ্বংস করেছেন। তারা অর্থনীতির মেরামত করতে পারবেন না। তারা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে। সুতরাং তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ এ সদস্য বলেন, ‘দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ সরকারের হাত থেকে মানুষ রক্ষা পেতে চায়। আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার হরণ করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’

Advertisement

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এক দফা, এক দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি- এ স্লোগান শুধু মুখে দিলে হবে না। রাস্তায় নেমে সরকারকে বিদায় দিতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারের বিদায় করা হবে। যারা স্লোগান দেন, তারা রাস্তায় থাকবেন। গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে মেরামত এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এ সরকারকে বিদায় দিতেই হবে।’

পটুয়াখালী ও রাজবাড়ীতে পুলিশ বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ হাসিনার অন্যায় হুকুম না মেনে জনগণের পাশে থাকুন। জনগণের পাশে যারা থাকবেন, তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’

জনসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

এদিন, দুপুরের পর জনসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগেই বিএনপি নেতাকর্মীরা পীরজঙ্গী মাজারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশ ঘিরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মতিঝিল ও এর আশপাশের এলাকা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জনসমাবেশস্থল।

Advertisement

গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশজুড়ে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

গত শনিবার সারাদেশে দলের ৮২ সাংগঠনিক ইউনিটে চার দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ দেশের ১৮ জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ করেছে বিএনপি।

কেএইচ/এএএইচ/এএসএম