ধর্ম

যে চার মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত বেশি

বছরব্যাপী মানুষ বিশ্ব ঘুরে বেড়ায়। মুমিন মুসলমানও এর থেকে পিছিয়ে নেই। তারাও পবিত্র নগরী মক্কা, মদিনা, কোবাসহ বিশ্বের ইসলামি স্থাপনাগুলো ঘুরে বেড়ায়। এ সবের মধ্যে ৪টি মসজিদের জেয়ারত ও নামাজ পড়ায় রয়েছে অনেক সওয়াবের হাতছানি। এ চারটি মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত ও বরকত তুলে ধরা হলো-

Advertisement

১. কাবা শরিফে নামাজ পড়ার ফজিলত

হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মাসজিদুল হারাম ছাড়া অপরাপর মসজিদের নামাজ অপেক্ষা আমার মসজিদের নামাজ হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ (ফজিলতপূর্ণ)। আর অন্যান্য মসজিদের নামাজের তুলনায় মাসজিদুল হারামের নামাজ এক লাখ গুণ উত্তম। (মুসনাদে আহমাদ ১৪২৮৪, ১৪৮৪৭; ইবনে মাজাহ ১৪০৬)

২. মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ার ফজিলত

Advertisement

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মাসজিদুল হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে পড়া নামাজের তুলনায় আমার এ মসজিদে পড়া নামাজ হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ।’ (বুখারি ১১৯০, মুসলিম ১৩৯১-৪, তিরমিজি ৩২৫, নাসাঈ ৬৯৪, ২৮৯৯; মুসনাদে আহমাদ ৭২১২, ৭৩৬৭, ৭৪৩২, ৭৬৭৬, ৭৬৮১, ৭৮৮৫, ৯৬৮০, ৯৭০১, ৯৭৬২, ৯৯০৫, ৯৯২৬, ১০০৯৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৬১, দারেমি ১৪১৮)

৩. মসজিদে আকসায় নামাজ পড়ার ফজিলত

হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মসজিদুল হারামে একটি নামাজ একলাখ নামাজের সমতুল্য এবং আমার মসজিদে একটি নামাজ এক হাজার নামাজের সমতুল্য এবং মসজিদুল আকসায় একটি নামাজ পাঁচশত নামাজের সমতুল্য। (ইবনে খুজাইমা ২৬৮)

হাদিসের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় জীবনের সব গুনাহ মাফের মাধ্যম।’ (ইবনু মাজাহ ১৪০৮, আত-তারগিব ১৭৭৮)

Advertisement

৪. মসজিদে কোবায় নামাজ পড়ার ফজিলত

হজরত সাহল ইবনু হুনাইফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নিজের বাড়িতে পবিত্রতা অর্জন করলো অর্থাৎ অজু করলো, এরপর মসজিদে কোবায় এসে নামাজ আদায় করলো, তার জন্য একটি ওমরাহর সমান সওয়াব রয়েছে।’ (ইবনু মাজাহ ১৪১২; নাসাঈ ৬৯৯, আত-তারগিব ১১৮১)

অপর এক বর্ণনায় হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি শনিবার মসজিদে কোবায় আসতেন। কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও সাওয়ারিতে চড়ে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুও ঐরূপ করতেন। (বুখারি ১১৯৩)।

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মসজিদে কোবায়) এসে দু’রাকাত নামাজ আদায় করতেন। (বুখারি ১১৯৪)

এমএমএস/জেআইএম