আন্তর্জাতিক

তিন হাজার রুপি থাকলেই ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের এই সমুদ্রে

ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ছুটি পেলেই ঘুরতে বের হন। পাহাড় কিংবা সমুদ্রই বেশিরভাগ বাঙালির প্রিয় স্থান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা সমুদ্রসৈকত হলো ভ্রমণপিপাসু বাঙালির প্রিয় স্থান। শীত-গ্ৰীষ্ম-বর্ষা দিঘার সমুদ্রসৈকত দেশ-বিদেশের বাঙালি পর্যটকদের ভরসাস্থল। হাতে মাত্র দু-তিন দিন সময় আর পকেটে হাজার তিনেক রুপি থাকলেই ঘোরা যায় এই সমুদ্রসৈকতের মনোরম পরিবেশে। বাজেট সামান্য বাড়ালেই বিলাসবহুল ভ্রমণও হয়ে যায়।

Advertisement

সকালে রওনা হতে হবে। বিকেলে সমুদ্রসৈকতে বসে প্রকৃতির রূপ দর্শন করা। তাছাড়া দিঘার খুব কাছে রয়েছে উদয়পুর, শংকরপুরের মতো দর্শনীয় স্থান।

দিঘার প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র। চাইলে সমুদ্রসৈকতে বালির পাহাড় গড়ে অথবা চুপচাপ বসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। সৈকতে বেড়ানোর জন্য পেয়ে যাবেন ঘোড়া। এছাড়া গড়ে উঠেছে পার্ক। দিঘা গেলে অবশ্যই মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে এ ধরনের পার্কে প্রবেশ করবেন। এই পার্কের পাশেই রয়েছে দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র, যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী দেখতে পাবেন।

দিঘার সমুদ্রসৈকতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। বঙ্গোপসাগরের নোনাজলের প্রতিচ্ছবিতে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত যেন শিল্পীর হাতের তুলির টানে সহজলভ্য কিছু। সেখানে গোসল করার নিরাপদ স্থান রয়েছে। দিঘায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানেও ঘুরতে পারবেন।

Advertisement

সন্ধ্যা নামলেই দিঘার সমুদ্রসৈকত আলোয় ঝলমল করে। ছোট ছোট দোকানি সমুদ্রের বিভিন্ন ধরনের মাছ, কাঁকরা, অক্টোপাস নিয়ে বসেন। যেখানে নিজের পছন্দের মাছ ভাজা কিংবা পুড়িয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এগুলোর দামও হাতের নাগালে।

এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য সস্তায় হোটেল এবং খরচ একটু বাড়ালেই বিলাসবহুল হোটেলেরও ব্যবস্থা আছে। অনেকেই বেড়াতে গেলে রান্না নিজেরাই করে খান। দিঘায় নিজের পছন্দে বাজার করে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। এছাড়া আপনি আপনার পছন্দের বাজার করে দিলে সেখানে রান্না করে দেওয়ার লোকও আছে। এজন্য অবশ্য আপনাকে গুনতে হবে অতিরিক্ত রুপি।

কলকাতা থেকে এক বাসেই দিঘা যাওয়া যায়। বাসে যেতে অসুবিধা হলে হাওড়া থেকে ট্রেনে দিঘা। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটতে পারবেন। দিঘা স্টেশন থেকে সমুদ্রের দূরত্ব হেঁটে ২০ মিনিট। এছাড়া ব্যাটারিচালিত গাড়ি পাবেন দিঘার সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার জন্য। তবে অবশ্যই দরদাম করে নেবেন। দিঘায় আসার আগে হোটেল বুক করে আসাই ভালো।

ডিডি/টিটিএন/এএসএম

Advertisement