শেষ ২টা ম্যাচে যে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলো পাঞ্জাব কিংস, তার ছিটেফোটাও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচেও একেবারে শেষ ওভারে এসে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে গেছে শিখর ধাওয়ানের দল।
Advertisement
ধর্মশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাঞ্জাব কিংসকে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা খানিকটা টিকিয়ে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস। ‘খানিকটা’ লেখার একটাই কারণ, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু যদি শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যায় এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বড় ব্যবধানে জিতে না যায়, তাহলে হয়তো প্লে-অফে যেতেও পারে রাজস্থান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব কিংস। জবাব দিতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান রয়্যালস।
আপাতত নিজেদের ‘কর্ম শেষ’ গতবারের ফাইনালিস্টদের। গ্রুপ পর্বের নির্দিষ্ট ১৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে তারা। সবার আগে পাঞ্জাব এবং রাজস্থান নিজেদের নির্ধারিত ১৪টি ম্যাচ শেষ করে ফেলেছে। ১৪ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট রাজস্থানের। তাদের রান রেট ০.১৪৮।
Advertisement
এক ম্যাচ কম খেলে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলিদের রান রেট ০.১৮০। ১৪ ম্যাচ খেলে পাঞ্জাব কিংসের পয়েন্ট ১২।
শুক্রবার পাঞ্জাবের ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে পাঞ্জাব কিংস। প্রাবশিরাম সিং শুরুতেই ২ রান করে আউট হয়ে যান। ১৭ রান করে বিদায় নেন শিখর ধাওয়ান। অথর্ব তাইদে ১২ বলে করেন ১৯ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হন।
ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারান ৩১ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৮ বলে ৪৪ রান করেন জিতেশ শর্মা। ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহরুখ খান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই জস বাটলারের উইকেট হারিয়ে বসে রাজস্থান। বাটলার ৪ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি। তবে জসস্বি জসওয়াল এবং দেবদূত পাডিক্কাল মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। ৩০ বলে ৫১ রান করে আউট হন পাডিক্কাল। ৩৬ বলে ৫০ রান করেন জসস্বি জসওয়াল।
Advertisement
অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান। মিডল অর্ডারে ক্যারিবীয় ব্যাটার শিমরন হেটমায়ার ২৮ বলে ৪৬ রান করে দলের জয়ে মূল ভূমিকা রাখেন। ১২ বলে ২০ রান করেন রায়ান পরাগ। দ্রুব জুরেল ৪ বলে অপরাজিত ১১ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আইএইচএস/