ভ্রমণ

পাহাড়জুড়ে বিশাল রেস্টুরেন্ট, একসঙ্গে খেতে পারেন ৫৮০০ জন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হটপট রেস্তোরাঁ দেখেছেন কখনো? যদি না দেখেন তাহলে ঘুরে আসুন চীনা শহর চংকিং থেকে। সেখানেই বিশাল এক পাহাড়ের অর্ধেকজুড়ে গড়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম ভোজনশালা।

Advertisement

পাহাড়জুড়ে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টে ৯০০টি টেবিল প্রস্তুত আছে অতিথি আপ্যায়নে। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, একসঙ্গে প্রায় ৫৮০০ জন মানুষ বসে খেতে পারেন এই রেস্টুরেন্টে।

আরও পড়ুন: সিলেট গিয়ে দেখে আসুন এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ নদী

চংকিংয়ের সুনাম আছে সেখানকার গরম গরম ও মসলাদার খাবারের জন্য। আক্ষরিক অর্থে সেখানে কয়েক হাজার রেস্তোরাঁ আছে। এটি মূলত একটি ফুড কোর্ট। যার নাম পিপা ইউয়ান। সেখানকার গরম ও মসলাদার খাবারের বিশেষত্ব আছে।

Advertisement

চংকিং-এর উপকণ্ঠে নানআন জেলায় অবস্থিত এই বৃহত্তম হটপট রেস্টুরেন্টের অবস্থান ৩৩০০ বর্গ মিটার। পিপা ইউয়ান দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বৃহত্তম হটপট রেস্তোরাঁ হিসাবে প্রশংসিত হয়ে আসছে। তবে গত বছর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস শিরোনামটি অফিসিয়াল করেছে।

চীনা ভাষায় পিপা ইউয়ানকে বলা হয় ‘লোকোয়াট গার্ডেন’। এটি একটি খাড়া পাহাড়ের ধারে অবস্থিত, পাহাড়ের নীচে পার্কিং লট থেকে পাহাড়ের যে কোনো একটি রেস্তোরাঁয় পৌঁছাতে আধা ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই খেতে ঘুরে আসুন নীলা মার্কেট

এই রেস্টুরেন্টে বর্তমানে ৮৮৮টি টেবিল উন্মুক্ত আছে। যদিও এটি বিশ্বের বৃহত্তম রেস্তোরাঁ, তাই বলে ভাববেন না আপনি যে কোনো সময় সেখানে গেলিই টেবিল পেয়ে যাবেন। জানলে অবাক হবেন, বসন্ত ও গ্রীষ্মে সেখানে রিজার্ভেশন ছাড়া একটি টেবিলও খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

Advertisement

সমগ্র চীন থেকে মানুষেরা সেখানে ভিড় করেন। বলা হয়, একটি ব্যস্ত দিনে পিপা ইউয়ান একটি ছোট কাউন্টির বাসিন্দাদের চেয়ে বেশি লোককে খাবার পরিবেশন করে।

প্রতিদিন সেখানে কয়েক টনের পাত্রে খাবার রান্না করতে হয় ও শত শত ওয়েটার সেসব খাবার অতিথিদের সামনে পরিবেশন করেন। পিপা ইউয়ানে মোট শতাধিক ওয়েটার, ১০ জন বাবুর্চি ও কয়েক ডজন রান্নাঘরের কর্মী, এই সঙ্গে ২৫ জনেরও বেশি ক্যাশিয়ার নিয়োজিত আছেন।

আরও পড়ুন: লাদাখ ভ্রমণে কখন যাবেন ও কী দেখবেন?

মজার ব্যাপার হলো, পিপা ইউয়ান দিনের মতোই রাতেও ব্যস্ত থাকে, অনেক পর্যটক রাতে সেখানে খেতে যান। রাতে সেখানকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয় রংবেরঙের আলো। পুরো পাহাড়টিকে প্রাণবন্ত করে তোলে নানা রঙের আলো খেলা।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

জেএমএস/এমএস