উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের সবারই উচিত নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা। তবে বারবার হাসিপাতালে গিয়ে রক্তচাপ পরিমাপ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়, এজন্য বেশিরভাগ উচ্চ রক্তচাপের রোগীই ঘরে রক্তচাপ মাপার যন্ত্র দিয়ে পরিমাপ করেন।
Advertisement
বিশেষজ্ঞরাও উচ্চ রক্তচাপ রোগীর সুস্থতায় ঘরে রক্তচাপ নিরীক্ষণ রাখার পরামর্শ দেন। তবে কখন রক্তচাপ মাপলে সঠিক ফলাফল মেলে? এ বিষয়টি হয়তো অনেকেরই অজানা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন গবেষণা ও বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে কী বলছেন-
আরও পড়ুন: হার্ট সুস্থ আছে কি না বুঝে নিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে
নতুন এক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার তুলনায় সকালে রক্তচাপ পরিমাপ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না তা ভালোভাবে জানা যায়।
Advertisement
এই গবেষণায় জাপানের কিছু মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। তারা দেখেন, সকালে রক্তচাপ পরিমাপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও এর থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কিত ছিল।
তবে সন্ধ্যায় তাদের রক্তচাপ আবারও পরিমাপ করা হলে দেখা যায়, রক্তচাপের সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকির তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপের যে লক্ষণ এড়িয়ে গেলেই বিপদে পড়বেন
জাপানের জিচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ও এই গবেষণার প্রধান ডা. সাতোশি হোশিদে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সায়েন্টিফিক সেশনের সভায় বলেন, ‘সকালে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষের তুলনায় এশীয় জনসংখ্যার মধ্যে বেশি। এ কারণে এশিয়ান জনসংখ্যার উচিত সকালের রক্তচাপ পরিমাপ করা।’
Advertisement
গবেষণায় উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন ৪,৩০০ জনেরও বেশি জাপানি অংশগ্রহণ করেন। দুই সপ্তাহ ধরে অংশগ্রহণকারীরা বাড়িতে তাদের রক্তচাপ মাপেন সকালে একবার ও সন্ধ্যায় একবার।
আরও পড়ুন: বেশিক্ষণ টিভির সামনে বসে থাকলে বাড়ে হৃদরোগ ও মৃত্যুঝুঁকি: গবেষণা
এভাবে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে চার বছরের ফলো-আপ বরা হয়। ফলোআপের সময় ৭৫ জনের মধ্যে স্ট্রোক ছিল বলে জানা যায়।
গবেষকরা দেখেছেন, যাদের মধ্যে সকালে রক্তচাপ রিডিং ১৫৫ মি.মি. এইচজির তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি সাত গুণ বেশি ১৩৫ মি.মি. এইচজি রক্তচাপের রিডিংয়ের তুলনায়।
যদিও সকালে উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত, তবে সকালের চেয়ে রক্তচাপের ওষুধগুলো সন্ধ্যায় গ্রহণ করা বেশি কার্যকর বলে জানান ডা. হোশিদে।
সূত্র: লাইভসায়েন্স
জেএমএস/এমএস