হৃদয় ও পরান একই এলাকার বাসিন্দা। তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই পরান একসময় হৃদয়কে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। উদ্দেশ্য হৃদয়ের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা।
Advertisement
আর এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ মে বিকেলে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে আকাশ নামে এক যু্বকের বাসায় নিয়ে যান হৃদয়কে। এরপর সেখানে রশি দিয়ে বেঁধে ফোনে হৃদয়ের বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ডোবায় ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: সমকামিতার ফাঁদ পেতে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা না পেয়ে আমিরকে হত্যা
এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতাররা হলেন ময়েজ হোসেন ওরফে পরান (২২) ও মো. সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩)।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে আশুলিয়া থানার মুজার মিল এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব-৪।
র্যাব জানায়, ৮ মে বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ায় প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হন হৃদয় (২০)। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও হৃদয় বাসায় না আসায় আশপাশ ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিন অজ্ঞাত পরিচয়ে ফোনে ভিকটিমকে অপহরণ এবং জীবিত ফেরত পাওয়ার শর্তে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। অন্যথায় ভিকটিমকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে ভিকটিমের বাবা নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
আরও পড়ুন: প্রেম করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায়ও হয় অপহরণ মামলা
র্যাব জানায়, এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে আশুলিয়ায় সাড়াশি অভিযান চালায় র্যাব। এরপর ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার এবং অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। এছাড়া হত্যায় জড়িত অপর দুই আসামি আকাশ এবং শাহীন পলাতক রয়েছেন।
Advertisement
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখে বালিশচাপা দিয়ে হৃদয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে শ্রীপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়।
আরএসএম/জেডএইচ/এমএস