আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে চার শিশু, যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ মাস। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, দুর্ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পরে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে চারজনকেই।
Advertisement
জানা যায়, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আমাজনের কলম্বিয়া অংশে। কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বুধবার (১৭ মে) এক টুইটে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর অনুসন্ধান প্রচেষ্টায় গুয়াভিয়ারে প্লেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ চার শিশুকে জীবিত খুঁজে পেয়েছি। এ ঘটনা দেশের জন্য আনন্দের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন>> অনলাইনে ভিউয়ের জন্য প্লেন দুর্ঘটনার নাটক, সাজার মুখে ইউটিউবার
গত ১ মে আমাজনের গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় প্লেনটি। এতে প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী নিহত হন এবং নিখোঁজ হয় চার শিশু। তাদের সবচেয়ে বড়জনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। বাকিদের বয়স নয় বছর, চার বছর ও ১১ মাস মাত্র।
Advertisement
নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত কুকুরসহ শতাধিক সৈন্য পাঠানো হয় জঙ্গলে। উদ্ধারকারীদের বিশ্বাস ছিল, দুর্ঘটনার পর থেকে দক্ষিণ ক্যাকুয়েটা বিভাগের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তারা।
আরও পড়ুন>> নেপালে মাঝআকাশে সংঘর্ষ এড়ালো দুই প্লেন, কন্ট্রোলাররা বরখাস্ত
সশস্ত্র বাহিনী জানায়, উদ্ধারকারীরা লাঠি ও ডালপালা দিয়ে তৈরি ঘরের মতো একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুঁজে পেলে বিশ্বাস করতে থাকেন, সেখানে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা রয়েছে। এরপর অনুসন্ধান প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনী প্রকাশিত ছবিতে জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের ডালপালার সঙ্গে একটি কাঁচি এবং চুল বাঁধার ফিতা দেখতে পাওয়া যায়। এর আগে বাচ্চাদের পানির বোতল এবং একটি আধা-খাওয়া ফল খুঁজে পেয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা।
Advertisement
আরও পড়ুন>> আমাজন নিধনের নতুন রেকর্ড
গত সোম ও মঙ্গলবার প্লেনের পাইলট এবং দুই প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা জঙ্গলের ভেতর কোনো অবস্থান থেকে কলম্বিয়ার আমাজন রেইনফরেস্টের অন্যতম প্রধান শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।
নিহতদের মধ্যে চার শিশুর মা-ও রয়েছেন।
সংশোধনী: কলম্বিয়ান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো পরে তার টুইট ডিলিট করে দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, শিশুদের উদ্ধারের বিষয়টি ‘অনিশ্চিত’।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভিকেএএ/