রুবেল মিয়া নাহিদ
Advertisement
মাসরুর চৌধুরী মীদ অনার্স ভর্তিচ্ছু। লেখালেখিতে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন বহুদূর। ১৮ বছর বয়সেই লিখেছেন পাঁচটি বই। বইগুলোর ই-বুক ভার্সন দেশের বাইরেও আধিপত্য বিস্তার করছে। অ্যামাজন, গুগল-প্লে এবং অ্যাপলে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের এই লেখকের বইগুলো।
মাসরুর পড়াশোনা করেছেন রংপুরের আর সি সি আই পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তার ধ্যান-জ্ঞানজুড়ে লেখালেখি। এরই মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনেকগুলো বই লিখেছেন। অ্যামাজনের মতো খ্যাতনামা অনলাইন পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও শোভা পাচ্ছে তার বই।
অ্যামাজন বিভিন্ন বিষয়ে লেখা নিয়ে বই প্রকাশ করে। তার স্বপ্ন ছিল লেখা শেষ হলে অ্যামাজনে জমা দেবেন। লেখা শেষ হলে যোগাযোগও করলেন। জমা দিলেন লেখা। রিভিউ করে অ্যামাজন জানালো তার বইগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।তাছাড়া গুগল-প্লে এবং অ্যাপলেও জায়গা করে নিয়েছে মাসরুরের বইগুলো।
Advertisement
আরও পড়ুন: প্রকাশ হলো কবি তুহিন মাহামুদের ‘পরিবর্তন’
শিক্ষার্থীরা যখন পাঠ্যবইয়ের ইংরেজি পড়তেই হিমশিম খায়, ঠিক সেই সময়ে ইংরেজিতে বই লিখে আলোড়ন তৈরি করেছেন তিনি। এরই মধ্যে অনলাইন দুনিয়ায় বিশাল পাঠকসমাজ গড়ে তুলেছেন। তার লেখা ই-বুকগুলো কিনেছেন প্রায় ১০ লাখ পাঠক। তার লেখা Identity Changes, Important advice of Lokman Hakim to his son, A Terribly Beautiful Life, My Inter Life Story বইগুলো অ্যামাজন, গুগল প্লে এবং অ্যাপলের মতো বড় বড় কোম্পানির লেখক দ্বারা প্রত্যয়িত।
এখন বহির্বিশ্বে তার বই নিয়ে চর্চা হয়। তার লেখা মোট পাঁচটি বইয়ের মধ্যে দুটোর হার্ডকপি এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে এসেছে। আর সবগুলোই দেশ-বিদেশে বিক্রি হচ্ছে ই-বুক আকারে। দেশে ইংরেজি বইয়ের পাঠক কম থাকায় তিনি সব কটি বই কাগজে-মলাটে বাঁধতে পারেননি।
তবে খুব সহজ ছিল না লেখক হিসেবে যাত্রা শুরুর গল্পটা। তার বাবা মেছবাহুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা গল্প, কবিতা, গানের ডায়েরিটা অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে পুড়ে যেতে দেখেছেন। বাবার পুড়ে যাওয়া সেই স্বপ্নগুলোকেই একীভূত করে মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি লেখেন ‘বিদ্যালয়’ নামের একটি কবিতা।
Advertisement
আরও পড়ুন: সেরা কথাসাহিত্যিক ও পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন লেখক মিরাজ
সেই কবিতাটি ছিল কিশোর মনে ফুটে ওঠা বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা, অভিযোগ ও সংশোধনের তাগিদ। তখন কবিতাটি কিশোর আলোয় প্রকাশিত হয়। এরপর পড়াশোনার চাপে বহুদিন লেখালেখিতে তেমন মনোযোগ দেওয়া হয়নি।কলেজে অধ্যয়নের সময় কিছু ছোটগল্প ও কবিতা লেখেন তিনি।
২০২০ সালে করোনার সময় পুরোপুরিভাবে নিজেকে বই লেখায় ব্যস্ত করেন। বাস্তব অভিজ্ঞতা, যুবকদের সমস্যা-সমাধানের উপায় নিয়ে লিখেছেন।
মাসরুর চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো, শুধু ক্যারিয়ার নয়, একজন মানুষ হিসেবে সবদিক দিয়েই সমানভাবে বেড়ে উঠতে হবে।’
এসইউ/এমএস