অর্থনীতি

মসলিন পণ্য রপ্তানি দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে সাহায্য করবে: বিজিএমইএ

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, মসলিনের মতো দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করে উচ্চ-মূল্যের পোশাক তৈরি করলে তা শুধুমাত্র বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মঞ্চে তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে সাহায্য করবে তা নয়, বরং একইসঙ্গে দেশের রপ্তানিমুখী পোশাকখাতের জন্যও সুযোগ তৈরি করবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকায় বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনের সুতা ও কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার এবং এ খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি মসলিন বস্ত্রের ঐতিহ্য ও বুনন কৌশল পুনরুজ্জীবিত করতে এবং মসলিন উৎপাদনের বাণিজ্যিকীকরণের জন্য বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, টেক্সটাইল প্রকৌশলী, কারিগর, ফ্যাশন ডিজাইনার, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ।

Advertisement

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক, মসলিনের মতো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বস্ত্র ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের সহায়তায় বিজিএমইএ এরই মধ্যে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ফ্যাশনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে এবং বিশ্ববাজারে রপ্তানির সম্ভাবনা অন্বেষণ করার কাজ শুরু করছে।

তিনি বলেন, সংগঠনটি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে মসলিন উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পণ্যটির প্রচারণা করবে।

ইএআর/এমআরএম

Advertisement