দেশে চলমান ডলার সংকট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে, উৎপাদন বাড়ছে। কাজেই ডলারের ওপর চাপ তো বাড়বেই।
Advertisement
ডলার সংকট নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে আজ সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। পরিবহন পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে। যে কারণে ডলার সংকট এখন সমগ্র বিশ্বেই রয়ে গেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, করোনা অতিমারিতে আমদানি-রফতানি, বিদেশে যাতায়াত বন্ধ থাকায় আমাদের খরচও কমেছিল। তখন ডলার খরচ হয়েছিল শুধু ভ্যাকসিন কিনতে। বাকিটা আমরা ভালোভাবে রিজার্ভ রাখতে পেরেছিলাম। তারপর যখন অর্থনীতি মুক্ত হলো ডলার খরচও বেড়ে গেল। তারচেয়েও বড় কথা আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে, উৎপাদন বাড়ছে, কাজেই ডলারের ওপর চাপ তো বাড়বেই।
সোমবার (১৫ মে) বিকেলে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত রয়েছেন।
ঢাকার নদী-খাল রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ ও কথিত নদীখেকোরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীখেকো বলতে হলে তো আগে মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা বলতে হয়। সেই আইয়ুব খান থেকে শুরু, এরপর জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং তারপরে খালেদা জিয়া। এরা যে যখনই এসেছে আমাদের নদীগুলোর সর্বনাশ করে দিয়েছে গেছে। গাছের সর্বনাশ করেছে, রাস্তার সর্বনাশ করেছে, সবই একে একে ধ্বং করে গেছে। এটা হতো বাস্তব কথা।
এরইমধ্যে তার সরকার বহু নদী ড্রেজিং করেছে এবং ড্রেজিংয়ের এ কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর এ ত্রিদেশীয় (জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) সফর শুরু হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ওইদিন সফরের প্রথম ধাপে টোকিও যান তিনি। চারদিনের টোকিও সফর শেষে সেখান থেকে তিনি সফরের দ্বিতীয় ধাপে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে যান। দেশটিতে প্রায় এক সপ্তাহের সফর শেষে তৃতীয় ধাপে ৪ মে লন্ডনে পৌঁছান সরকারপ্রধান। যুক্তরাজ্য সফরকালে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী রানি ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। লন্ডন থেকে গত ৯ মে তিনি দেশে ফেরেন।
Advertisement
এসইউজে/এমকেআর/এমএস