ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় বাড়িঘরের ক্ষতি ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর সংবাদ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সোমবার (১৫ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
Advertisement
আরও পড়ুন: মহেশখালীতে মোখার তাণ্ডব, ৩ লবণচাষির মৃত্যু
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাড়িঘরের সংখ্যা ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির আর কোনো তথ্য আমরা পাইনি। সেন্টমার্টিনে ১২শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ক্ষতি হয়েছে বেশি। এই প্রথম বাংলাদেশ কোনো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করলো, যেখানে মৃত্যুর সংবাদ নেই। এজন্য আমরা এটাকে বিশাল সফলতা বলছি। কারণ প্রাণহানিটাই সবচেয়ে বড় লস। সবকিছুই রিকভার করা যায়, কিন্তু মানুষের জীবন আর ফিরিয়ে আনা যায় না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় নির্দেশ দিয়েছেন একটি লোকও যেন আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে না থাকে। একটি লোকও যেন মৃত্যুর ঝুঁকিতে না থাকে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নামলো সব সতর্ক সংকেত
১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত থাকা অবস্থায় কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই চলে গেছেন। যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা অনেকে নিজেদের বাড়ি রিকভারি করা শুরু করেছেন। সংকেত যতক্ষণ ১০ ছিল ততক্ষণ আমরা কাউকে যেতে দেইনি। যেতে চেয়েছে কিন্তু প্রশাসন দেয়নি। পরে সংকেত কমানোয় তারা স্বেচ্ছায় চলে গেছেন।
আরও পড়ুন: দুদিনের মধ্যে লোডশেডিং স্বাভাবিক হবে, আশা প্রতিমন্ত্রীর
আশ্রয়কেন্দ্রের খাবার নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার মানুষ যাওয়া মাত্রই আমরা ড্রাই কেক আর টোস্ট বিস্কুট দিয়েছিলাম। তাদের মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত চাল রয়েছে, তা দিয়ে খিচুরি করে দেওয়া হয়েছে। পানির অভিযোগ এসেছে কয়েক জায়গা থেকে। তখন আমি ডিসিকে বলার পর সেখানে মিনারেল ওয়াটার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মানবিক সহায়তার মান বাড়ছে। আগে বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ে যে পানি দেওয়া হতো তা কিন্তু ট্যাবলেট দিয়ে খাওয়ানো হতো। এখন কিন্তু বোতলে মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ করি। কক্সবাজারের ডিসি জানিয়েছেন এখন পর্যাপ্ত পানি রিজার্ভে রয়ে গেছে।
Advertisement
আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস