বিনোদন

আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন ফারুক ভাই: শাকিব খান

ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দেশের সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Advertisement

সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি। নায়ক ফারুককে হারিয়ে অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।

আজ (১৫ মে) দুপুরে শাকিব খান তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই (আকবর পাঠান ফারুক)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যতদিন তিনি সুস্থ সবল তিনি ছিলেন, ততদিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন।

তিনি আরও লিখেছেন আমার যে কোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।

Advertisement

অভিনেতা ফারুক দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আট বছর ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিবিদ।

নায়ক ফারুক সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। পরীক্ষায় রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি।

নায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমায় তার যাত্রা শুরু হয়। তার প্রথম সিনেমায় তার কবরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এরপর ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এবং ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ দুটি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন ফারুক।

৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করা নায়ক ফারুক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Advertisement

নায়ক ফারুক অভিনয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।

এমআই/এমএমএফ/জেআইএম