ফিচার

মাধুরী দীক্ষিতের জন্ম

মাধুরী দীক্ষিত একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তাকে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। অভিনয় জীবনে তিনি সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

Advertisement

মাধুরী ১৯৬৭ সালের ১৫ মে মহারাষ্ট্রে মারাঠী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শঙ্কর দীক্ষিত ও মাতা স্নেহলতা দীক্ষিত। তিনি ভারতের মুম্বাইয়ের (সাবেক বোম্বে) অধিবাসী। দীক্ষিত ডিভাই চাইল্ড হাই স্কুল এবং মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ও মাইক্রোবায়োলোজিস্ট হতে চেয়েছিলেন। তিন বছর বয়স থেকে তিনি নৃত্যের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। এরপর তিনি আট বছর কথক নৃত্যের প্রশিক্ষণ নেন এবং একজন প্রশিক্ষিত ও পেশাদার কথক নৃত্যশিল্পী হয়ে ওঠেন।

১৯৮৪ সালে নাট্যধর্মী অবোধ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এরপর কয়েকটি চলচ্চিত্র ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে মারপিটধর্মী প্রণয়মূলক চলচ্চিত্র তেজাবের মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করেন ও দর্শক মহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলেন। ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের নেতৃত্বদানকারী অভিনেত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে একচ্ছত্র প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করেন।

তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো-দিল, বেটা, হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..!, দিল তো পাগল হ্যায়, রাম লক্ষণ, ত্রিদেব, থানেদার, কিশেন কানাইয়া, সাজন, খলনায়ক, রাজা, প্রেম প্রতিজ্ঞা, দেবদাস, প্রহার, আঞ্জাম, মৃত্যুদণ্ড, পুকার, লজ্জা, আজা নাচলে ইত্যাদি।

Advertisement

বর্তমানে তিনি বিভিন্ন কনসার্ট সফর ও মঞ্চ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান সঞ্চলনা ও নৃত্যানুষ্ঠানের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।

মাধুরী শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়াও দুইবার জি সিনে পুরস্কার ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য তাকে ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সাতবার ফোর্বস ভারতের ১০০ তারকার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

কেএসকে/জেআইএম

Advertisement