থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা প্রায় শেষের পথে। ফলাফলে বিরোধীদলের জয়জয়কার অবস্থা দেখা গেছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ আসনে জয় পেয়েছে তারা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে এক দশক ধরে চলা সামরিক শাসন বা তাদের আশীর্বাদপুষ্টদের প্রত্যাখ্যান করতে যাচ্ছে দেশটির মানুষ। খবর আল-জাজিরার।
Advertisement
৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, প্রগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) ও পপুলিস্ট ফেউ থাই পার্টি অনেক এগিয়ে রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, সংসদের ৫০০ আসনের মধ্যে ২৮৬টিতে জয় পেতে পারে দল দুইটি। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়েছে দেশটির সামরিক সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।
তবে দল দুইটি সরকার গঠন করতে পারবে কি না তা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়েছে। এজন্য ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে চুক্তির প্রয়োজন হতে পারে তাদের।
Advertisement
২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করেন সাবেক সেনাপ্রধান প্রাউত। এবারের ভোটের আগে জনমত জরিপেও পিছিয়ে ছিল তার দল। সবচেয়ে এগিয়ে ছিল পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফিউ থাই। এরপরই ছিল এমএফপি।
কিন্তু ভোট গণনায় বিস্ময়করভাবে এগিয়ে থাকার পর বেশ আশাবাদী এমএফপির প্রধান পিটা লিমজারোয়েনরাত। বলেছেন, তার দল ফিউ থাইয়ের সঙ্গে জোট বেধে সরকার গঠন করতে পারে। দুই দল মিলে দেশের চলমান সংকটের সমাধান করতে পারবে।
এমএফপি দলটি ২০১৪ সালে রুয়াম পাত্তানা চার্ট থাই পার্টি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তবে নানা বির্তকের পর ২০২০ সালে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি হিসেবে তারা রাজনৈতিক তৎপরতা চালায়।
এমএসএম
Advertisement