জাতীয়

বাতাসের গতিবেগ নির্ণয়ে ওড়ানো হয় বেলুন, দিনে খরচ লাখ টাকা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও দেশের আরও চারটি অফিস থেকে প্রতিদিন বড় বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হয়। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এ বেলুনের নাম রেডিওচন্ডী। বেলুনের নিচে রশির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় একটি সেন্সর ডিভাইস। যার মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ, গতিপথ ও তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়।

Advertisement

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রতিটি বেলুনে খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা। এতে প্রতিদিন এক লাখ টাকার বেশি খরচ হয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আসাদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, বগুড়া ও সিলেটে হাইড্রোজেন গ্যাসযুক্ত রেডিওচন্ডী বেলুন ওড়ানো হয়। ঢাকায় প্রতিদিন দুইবার করে ও ঢাকার বাইরে প্রতিদিন একবার করে এ বেলুন ওড়ানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘বেলুনের নিচে রশির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় একটি সেন্সর ডিভাইস। যার মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন উচ্চতায় বাতাসের গতিবেগ, গতিপথ ও তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয়।’

Advertisement

আবহাওয়া অধিদপ্তরের যান্ত্রিক প্রকৌশলী আবু সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি বেলুন ওড়ানোর খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা করে। আগে দাম কম থাকলেও এখন দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল ৬টায় ও সন্ধ্যা ৬টায় এসব বেলুন ওড়ানো হয়।’

এদিকে মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রোববার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার পর্যন্ত। মোখার প্রভাবে টেকনাফেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

Advertisement

আর চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

টিটি/ইএ/এএসএম