ফিচার

শিক্ষার্থীদের চোখে মা ও মা দিবস

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ ‘মা’। সবচেয়ে বেশি সম্মানীয় শব্দও ‘মা’। মায়ের চেয়ে আপন পৃথিবীতে কেউ নেই। সব ধর্মে মায়েদের স্থান সবার উপরে। মা সম্পর্কটাকে কেবল দিবস দিয়ে বিচার করা যায় না। তবে মা দিবস সন্তানের কাছে ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ দিন। যারা মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে লজ্জা বোধ করেন, মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না, মা দিবসটি তাদের জন্যই বিশেষ। মা দিবসে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাদের মায়ের প্রতি ভালোবাসা। লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন মামুনূর রহমান হৃদয়—

Advertisement

মা ও সন্তানের বন্ধন অটুট থাকুকসাফ্ফান তাসনিম রিয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগচারদিক যখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষগুলো যখন হঠাৎ বিলীন তখন পাশে থাকে মা। স্বার্থপরতা ও বিশ্বাসঘাতকতা যখন চরমে, তখন নিঃস্বার্থে একমাত্র ভরসার প্রতীক ও ঢাল হয়ে দাঁড়ায় যে সে মা। শত বাধা উপেক্ষা করে যে মানুষটি আমাদের আগলে রাখে সেই ‘মা’ শব্দটির প্রকৃত অর্থে কোনো সংজ্ঞা হয় না, কোনো দিবস হয় না। পৃথিবীর সব মায়েরা ভালো থাকুক, মা ও সন্তানের বন্ধন অটুট থাকুক, সব বৃদ্ধাশ্রম বিলীন হয়ে যাক।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী মায়েদের গল্প

শৈশবে ক্ষুধার যন্ত্রণা বুঝতে দেননি মাএস.এম.তানভীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগআল্লাহ তায়ালার সেরা নেয়ামত মা। মা হচ্ছেন একজন সন্তানের পৃথিবীতে আসার প্রধান ও বেঁচে থাকার অবলম্বন। সন্তানের কাছে মায়ের কোনো বিকল্প নেই। মায়ের স্নেহ-মমতার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। মায়ের যত্ন, লালন-পালনের ঋণ সন্তান কখনো শোধ করতে পারবে না। শীত, গরম, ক্ষুধা ও তৃষ্ণার জ্বালা যিনি সন্তানকে শৈশবে বুঝতে দেননি তিনি হলেন মা।

Advertisement

বটবৃক্ষের ছায়ার মতো আগলে রাখেন মাতাজরিয়ান সমু রুশা, রসায়ন বিভাগখাবার টেবিলে বড় মাছ বা মাংসের টুকরা নিজে না খেয়ে সন্তানদের আগে খাওয়ান মা। শত ব্যস্ততার মাঝেও দোয়া করতে ভুলেননা মা। ঝড়-বৃষ্টি, রোগ-শোকেও যে মানুষটি বটবৃক্ষের ছায়ার মতো আমাদের আগলে রেখেছেন তিনি আমার জন্মদাত্রী মা। আমাদের জীবন গড়ার এই কঠিন পথ পাড়ি দিচ্ছি যার প্রেরণা, ত্যাগ আর অকৃত্তিম ভালোবাসায় সেই মায়ের প্রতি অসংখ্য ভালোবাসা।

বিশ্বজয় করার কারিগরদের গড়ে তোলেন মারাতুল আহমেদ, সমাজকর্ম বিভাগআমার দেখা সেরা নারী আমার মা। মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়াদের কথা ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছি। আমাদের অন্তরে তাদের আদর্শ লালন করেছি। দুনিয়া জোড়া মানুষ তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়। সবার কাছেই তারা প্রশংসনীয়। কিন্তু যে মহীয়সীদের স্বীকৃতি বা প্রশংসা লাগেনা, নীরবে-নিভৃতে যারা নিজের দায়িত্ববোধ থেকে, ভালোবাসা দিয়ে, সমাজ এবং বিশ্ব জয় করার কারিগরদের গড়ে তোলেন, তারা আর কেউ নন, আমাদের মা।

আরও পড়ুন: রত্নগর্ভা মণিপুরী মা মঞ্জুশী সিনহা

মায়ের কাছে এখনো সেই ছোট আমিসজিব মিয়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিযতই বড় হই না কেন, আমাদের অস্তিত্বজুড়ে মা শব্দটির বিচরণ ছোটবেলার মতোই থেকে যায়। মায়ের কাছে আমি যেন স্কুলপড়ুয়া সেই ছোট্ট ছেলেটি। পৃথিবীর সবার কাছে বয়সে, আচরণে, অভিজ্ঞতায় বড় হলেও মায়ের কাছে এখনো সেই ছোট আমি। এখনো বাইরে গেলে মায়ের দুশ্চিন্তা, ঘন ঘন ফোন দেওয়া, পথে কোনো বিপদ হয় কি না সব খোঁজ-খবর রাখেন। অথচ এই আমি একা থাকতে পারি, ঘুরতে পারি, চলতে পারি। সে কথা মাকে বোঝাই কি করে। মাঝে মাঝে ভাবি, বোঝানোর দরকারই বা কি। সবার কাছে তো বড় হয়েই গেছি, মায়ের কাছে না হয় ছোট্ট আমিই থাকি।

Advertisement

কেএসকে/জেএমআই