সাহিত্য

মাকে নিয়ে পাঁচটি কবিতা

১.মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হলেখালি জিজ্ঞেস করেন—‘আবার ছুটি পাবি কবে?ছুটি পাইলে আহিস!’আমি কিছুই না বলে—তাকিয়ে থাকি ক্যালেন্ডারের দিকে। হিসেব করতে থাকি—আমার আর মায়ের মধ্যে দূরত্ব আর কত দিনের!

Advertisement

২.বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।এ কথা ভাবতেই—নিঃশব্দে ঝরে পড়ে সমস্ত সাদা নিম ফুল!তখন—বাড়ির উঠোনজুড়ে এক গাঢ় বিমর্ষতা।আমার মা!

৩.চলে যেতে যেতে, শুনি—ফেলে আসা পথ তুলছে কোরাস—‘যেও না!’আর খানিকটা দূরেএকটা মেহগনি গাছ ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন মা।যার চোখের নিচে কাঁপে—পৃথিবীর সমস্ত ছায়া!

৪.দুপুরে মাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি খাইছো মা?’মা বললেন, ‘নারেহ আমি তো আজ রোজা।’কীসের রোজা জানতে চাইলাম কিন্তু বলতে চাইলেন না। আরও দুবার জিজ্ঞেস করায় বললেন, ‘তোর জন্য।’তখন আমি আর কিছুই বলতে পারিনি। মায়ের মুখে তাকিয়ে একদম চুপ হয়ে গেছি।যেমন সন্তান চুপ থাকে তার মায়ের বুকে।

Advertisement

৫.মায়ের আমার মন ভালো নেইমন ভালো নেই আমারও,মন খারাপের শিল্প মানেইআঁধার চেয়ে ঢের গাঢ়।

মায়ের আমার পরাণ কাঁদেআমিও কাঁদি আড়ালে,কী বা এমন ক্ষতি হতোদোষ ভুলে হাত বাড়ালে!

মায়ের আমার মুখ ভারী খুবআমার মুখেও এক রেখা,এক জীবনে আর কত কীরইলো বাকি যে শেখা!

মায়ের আমার দোষ ছিল যাদোষ ছিল যা আমাদের,করজোড়ে আসছি আবারচাইছি আমরা ক্ষমা ফের।

Advertisement

এসইউ/জেএমআই