বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলে বাতাসের গতি বেড়েছে। বাড়ছে বৃষ্টিও। বিক্ষুব্ধ আছে সাগর। বাড়ছে পানির উচ্চতাও।
Advertisement
রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, শনিবার তেমন বাতাস ছিল না। ভোর থেকে বৃষ্টি-বাতাস বাড়তে থাকে। পানির উচ্চতা বেড়েছে। সাগর উত্তাল আছে। কাল বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আসতে শুরু করে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে দ্বীপের চারপাশে সাগরে পানির উচ্চতা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। বেড়েছে বৃষ্টি এবং দমকা বাতাসও। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ অব্যাহত আছে। নারী-শিশুরা আশ্রয় কেন্দ্রে আছে। পুরুষগুলো এলাকার পরিস্থিতি অবলোকন করছি। পানি দ্বীপে উঠছে দেখলে পুরুষরাও আশ্রয়কেন্দ্রে উঠে যাবে সেইভাবে প্রস্তুতি আছে। বাতাস ও বৃষ্টি বাড়ায় সবার মধ্যে একটু আতঙ্ক ভর করছে।
Advertisement
সকাল ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৮ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উপকূলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। সকাল ৬টায় এটি উপকূল থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে একটানা বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ‘মোখা’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। রোববার সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এমএস
Advertisement