বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। সাগরে শক্তি সঞ্চয় করে এ ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে ধীরে এগিয়ে আসছে। এরইমধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১৩ মে) দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে শনিবার (১৩ মে) দিনগত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে চট্টগ্রাম-বরিশাল উপকূলে।
দুর্যোগপূর্ণ এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গ্যাসচালিত কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনে ভাটা পড়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে আংশিক চালু বা বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন>> এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ, তিতাস এলাকায় গ্যাসের চাপ কম
Advertisement
ফলে সারাদেশে গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে গেলেই গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন>> মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
শনিবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। পোস্টে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আংশিক চালু বা বন্ধ থাকছে। ফলে ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এ অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়া মাত্রই ভাসমান টার্মিনালগুলো পুনরায় স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালু করা হবে। এ মহাদুর্যোগে সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।’
>> ঘূর্ণিঝড় মোখা সংক্রান্ত সব খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
Advertisement
এএএইচ/জিকেএস