জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মোখা: আড়াই লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা, আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

Advertisement

ঘূর্ণিঝড় মোখায় সাধারণ জনগণ, পোষা প্রাণী, ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের, প্রাণিসম্পদ ও বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে এবং জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যান্ট ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদের প্রতি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনার আলোকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং নিজ উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষদের সাহস জোগানো ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলার ২৫৫টি এবং সুবর্ণচর উপজেলার ১৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আনসার ভিডিপি সদস্যদের সহায়তায় প্রায় তিন লাখ দুর্গত মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের দেখাশোনা ও অন্য সহযোগিতার জন্য ভিডিপি ইউনিয়ন লিডার ও আনসার কমান্ডারলা তৎপর আছে।

Advertisement

এছাড়া সেন্টমার্টিন, সন্দ্বীপ ও ভোলাসহ অন্য জেলা ও উপজেলাগুলোতেও সাধারণ মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে।

প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে একজন কমান্ডার/দলনেতার অধীনে ১০ জন করে ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব সদস্যের ছুটি স্থগিত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডাররা এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সদর দপ্তরের অপারেশনস কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সমন্বয় করছে।

জেএইচ/জিকেএস

Advertisement