গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- আগামী ১৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দেশের সব জেলা ও মহানগর পর্যায়ে এ সমাবেশ করবে দলটি।
Advertisement
শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ থেকে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, আগামী ১৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তরসহ ২৮ জেলায় ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে। ২০ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ ২১ জেলা ও মহানগরে, ২৬ মে ঢাকা উত্তরসহ ২০ জেলা ও মহানগরে, ২৭ মে ঢাকা দক্ষিণসহ ১৫ জেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে নিম্ন আদালত কর্তৃক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, কারাগারে প্রেরণ, গায়েবি মামলা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানি, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, লোডশেডিং, দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে এ চার দিনে এ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> রাজনীতিতেও ঝড় আসছে, পরিণতি ভয়াবহ হবে: ফখরুল
শনিবার নয়াপল্টনের সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে নিম্ন আদালত কর্তৃক নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ, গায়েবি মামলা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, পুলিশ হয়রানি, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান প্রমুখ। এছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কেএইচ/এএএইচ/জিকেএস