দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, প্রস্তুত ৪৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র

উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) রাত থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘনা নদীর জোয়ার স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় ৪৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্যোগকালীন তিন লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া আট হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল 

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১১১ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নোয়াখালীতে কর্মরত সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ২৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নোয়াখালী ইউনিটের পক্ষ থেকে পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় হাতিয়ায় ২৪২ আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রাখার বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে নোয়াখালী। এতে উপকূলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement