জাতীয়

বাজেটের আগেই বেনসন ১৮ টাকা, গোল্ডলিফ ১৩

আসন্ন প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের আগেই বাজারে প্রায় সব ধরনের সিগারেটের দাম ১-২ টাকা বেড়েছে। ফলে ধূমপায়ীদের এখন থেকেই সিগারেট কিনতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার (১৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি শলাকা বেনসন সিগারেটে দুই টাকা বেড়ে ১৮ টাকা হয়েছে। আর গোল্ডলিফ এক টাকা বেড়ে ১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যে মার্লবোরো সিগারেট প্রতি শলাকা ১৬ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে ১৭ টাকা হয়েছে। তবে রয়েল, ডার্বি, হলিউড আগের দাম পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদামতো সিগারেট মিলছে না। সিগারেটের ডেলিভারিও বন্ধ রয়েছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরাসরি কোম্পানি থেকে নেওয়া এজেন্টরা বাজারে সিগারেট ছাড়ছে না।

আরও পড়ুন>> নিম্নমানের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিতে হবে

Advertisement

মোহাম্মদপুর এলাকার জাকির কনফেকশনারির মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আগে যেখানে সপ্তাহে ৩০ কার্টন সিগারেট নিতাম, সেখানে এখন আমাকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১২ কার্টন। তাও আবার আগের দামের চাইতে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এজন্য খুচরা হিসাবে প্রতি শলাকা বেনসনে ২ টাকা ও গোল্ডলিফে ১ টাকা বেড়েছে।’

সিনডিকেটকে দায়ী করে এ দোকানি বলেন, ‘কোম্পানি থেকে যে এজেন্টরা সিগারেট নেন, তারা গোডাউনে মজুত করে রেখেছেন। বাজারে তারা সিগারেট ছাড়ছেন না। বাজেটের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়লে তারা তখন সেগুলো বাড়তি লাভে বাজারে ছাড়বে।’

আরও পড়ুন>> ধূমপান ছাড়তে বিনামূল্যে ১০ লাখ ই-সিগারেট দিচ্ছে ব্রিটেন

গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকার হাবিব স্টোরের মালিক দবির হোসেন বলেন, ‘অল্প কয়েকদিন হলো- সিগারেটের সংকট চলছে। হঠাৎ করেই কমে গেছে সরবরাহও। আমার দোকানে প্রতিদিন চার হাজার টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। অথচ আমাকে মাত্র দেড় হাজার টাকার সিগারেট দিয়েছে তাও আবার বাড়তি দামে। এজন্য বাড়তি দামে বিক্রি করছি।’

Advertisement

এদিকে, বাজেটের আগে সিগারেটের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ ধূমপায়ীরা। কাদের ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, বাজেটের পর সিগারেটের দাম বাড়বে, এটা সবারই জানা। এজন্য ইচ্ছা করেই সংকট তৈরি করা হচ্ছে। সয়াবিন তেলের মতো সিগারেটও সিন্ডিকেটের শিকার।

আরও পড়ুন>> ‘সিগারেটে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার’

আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এবারের এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত।

টিটি/এএএইচ/জিকেএস