নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

মোখার প্রভাবে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে বন্দরের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও নির্দেশনা জারি করা হয়েছে আগের দিন রাত থেকে। কিন্তু এ রুটে রাতের কোনো লঞ্চ না থাকায় সকাল থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়। শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের ট্রলার ও নৌকাযোগে নদী পারাপার সচল রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, টার্মিনাল থেকে সাতটি রুটে ৪০টি লঞ্চ চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে ৪০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এছাড়াও চাঁদপুর, মতলব, রামচন্দ্রপুর, নড়িয়া, হাটুরিয়া ও ঈদগাহ রুটে লঞ্চ চলাচল করে।

আরও পড়ুন: বরগুনায় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ

এ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যাদের জরুরি প্রয়োজন তারা নদীপথ ছেড়ে সড়কপথে যাতায়াত করছেন।

কামাল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমি আসছিলাম চাঁদপুরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু টার্মিনালে এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। যেহেতু লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আজ আর যাওয়ার কোনো উপায় নেই।

আল ফালাহ লঞ্চের চালক কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি থাকাটা স্বাভাবিক। আমাদের অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হবে।

রাসেল নামের লঞ্চের একজন স্টাফ বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলে আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়ি। আবার যাত্রীদেরও ভোগান্তি বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে সাইক্লোন শেল্টারে ছুটছেন মানুষ

নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরগামী রাসেল-২ লঞ্চের কোয়ার্টার সহকারী হান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে চলাচল করবে তা বলা হয়নি। লঞ্চ বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের দৈনন্দিন আয়ও বন্ধ হয়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর শুল্ক আদায়কারী ইউসুফ আলী শেখ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভাল হলে চালু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলার নৌযানের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/আরএইচ/জিকেএস