আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা, পশ্চিমবঙ্গে সতর্কতা

ভয়াবহ রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরও ভয়ংকর রূপ নিতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে। মোখার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এছাড়াও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতাসহ বেশকিছু জেলায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোখার গতি থাকতে পারে ১৫০-১৬০ কিলোমিটার

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়বে মোখা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। যে গতিতে বঙ্গোপসাগর দিয়ে এগোচ্ছে তাতে এই ঝড় রোববার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে।

তবে পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব না পড়লেও উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারনে আগামী কয়েক ঘন্টায় তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

তবে শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে কলকাতার আকাশে মেঘের ঘনঘটা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৮ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৫ থেকে ৮০ শতাংশ।

ফলে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলেও সূর্যের তেজ অনেকটাই কম থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উওরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কারনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

এদিকে প্রবল শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলোতে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া উপকূলের ১০ জেলায় ৫ থকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

Advertisement

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিমি) বৃষ্টি হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।

টিটিএন