শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এ অবস্থায় দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনীর ২১ জাহাজ, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট।
Advertisement
শনিবার (১৩ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা
আইএসপিআর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনীর ২১ জাহাজ, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট।
Advertisement
এদিকে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ।
কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
Advertisement
টিটি/জেডএইচ/এএসএম