জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে প্রস্তুত ১৬০৬ আশ্রয়কেন্দ্র

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এক হাজার ৬০৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা যাবে মোট ১০ লাখ সাত হাজার ১০০ জন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

Advertisement

এই দুই জেলায় সব স্তরে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, পৌর ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি সভা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: রোববার দুপুরে আঘাত হানবে ‘মোখা’, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, কক্সবাজার জেলায় ২০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫৯০ টন চাল, সাড়ে তিন টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক, ২০ হাজার খাবার স্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া কক্সবাজার জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আট হাজার ৬০০ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৯৯ জন ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, সৈকতে ঢেউ বাড়ছে

আর চট্টগ্রামে নগদ ১৪ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬০৮ টন চাল, সাড়ে তিন টন টোস্ট বিস্কুট, তিন টন ড্রাই কেক ও ৩০ হাজার প্যাকেট খাবার স্যালাইন মজুত রাখা হয়েছে। রয়েছে ৬০ হাজারটি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও।

জেলাটিতে ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলোর ধারণক্ষমতা পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন। এরইমধ্যে সিপিপির আট হাজার ৮৮০ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Advertisement

আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস