বরগুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৪ স্পটে আড়াই কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এ এলাকার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে নদীতে পানি বাড়লে বেড়িবাঁধের দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করবে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে লোকালয়ের পানি প্রবেশ রোধে জিও ব্যাগ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৬০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ২২ পোল্ডারের ২৪ স্পটে স্থানে দুই কিলোমিটার ৫৭০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০ স্পটে এক হাজার ২৫ মিটার, পাথরঘাটার চারটি স্থানে ৫৮৫ মিটার, বামনার চারটি স্থানে ৩৪০ মিটার, তালতলীর দুটি স্থানে ৩১০ মিটার, বেতাগীর দুটি স্থানে ১৯০ মিটার ও আমতলীর দুটি স্থানে ১২০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ১৮ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে উপকূলবাসী
মোহাম্মদ আবুল কালাম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, উপজেলা শহরের পশ্চিম পাশের বিষ খেলে নদীর বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে শহরে পানি প্রবেশ করবে।
তালতলীর আলামিন তালুকদার জানান, এলাকাটি ভাঙনকবলিত। প্রতিবছর এখানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে। সিডরে এ অঞ্চলের অন্তত ৫০ জন মানুষ মারা গেছে। এখন যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে এর প্রভাবে নদীর পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, ২৪ স্পটে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। জেলায় ছয় উপজেলায় টিম গঠন করা হয়েছে। ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ সংস্কার করা হবে।
Advertisement
আরএইচ/জিকেএস