দেশজুড়ে

ঝালকাঠিতে প্রস্তুত ৬২ আশ্রয়কেন্দ্র, ৩৮ মেডিকেল টিম

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৬২ আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৮ মেডিকেল টিম। এছাড়া স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয়ে ১৬০ স্বেচ্ছাসেবকের টিম তৈরি করা হয়েছে। জেলার সব উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুই লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৫০০ পিস স্যানিটারি ন্যাপকিন, ৩০০ পিস প্লাস্টিকের বালতি, ৩০ টি অস্থায়ী টয়লেট, ২৫টি পানির ট্যাংক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিরাপদে সরে যেতে সুন্দরবন উপকূলে মাইকিং

জেলার রাজাপুর ও কাঠালিয়া ইউনিয়নের বড়ইয়া, মঠবাড়ি, আমুয়া, শৈলোঝালিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ না থাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

Advertisement

কাঠালিয়া উপজেলার বাসিন্দা সাকিবুজ্জামান সবুর জানান, স্থায়ী বাঁধ না থাকায় অনেক সময় অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দুর্গত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

আশরাফুল ইসলাম নামের আরেকজন জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আসতে এখনো দুই-তিন দিন সময় লাগবে। তাই এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্র মুখি হয়নি।

আরও পড়ুন: সাগর উত্তাল, বেড়েছে নদ-নদীর পানি 

মগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোসা. শাহনাজ আক্তার জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় এখানে কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর আর কোনো ঝড়ে পূর্বে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন আসেনি। মূলত মানুষ গৃহপালিত পশুপাখি রেখে আসতে চান না।

Advertisement

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আতিকুর রহমান/আরএইচ/জিকেএস