জাতীয়

কারওয়ান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ আড়ত উচ্ছেদে ব্যবসায়ীদের বাধা

রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচামালের আড়ত মার্কেট উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ভবন বন্ধ করতে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। এর আধাঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে অভিযানে বাধা দেন ব্যবসায়ীরা।

সেখানকার ব্যবসায়ী নেতা নাহিদ হাসানের দাবি, আড়ত থেকে মালামাল সরাতে ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। এমনকি ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিকল্প জায়গাও দেয়নি ডিএনসিসি। এ কারণেই তারা অভিযানে বাধা দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: কারওয়ান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচামালের আড়ত উচ্ছেদে অভিযান চলছে

Advertisement

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কাঁচাবাজারের আড়ত মার্কেটের ভবনে ১৭৬টি দোকান রয়েছে। মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত এপ্রিল মাসে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশে আড়তদারদের মার্কেট ছাড়তে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযানে মার্কেটে থাকা সব দোকানের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মার্কেটটি সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ৯, মাঝারি ১৪ ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪

এদিকে ব্যবসায়ীদের বাধা মুখেই আড়তের সব দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করছে ডিএনসিসি। ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে অভিযানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা গেছে।

Advertisement

ডিএনসিসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিএনসিসি আওতাধীন ৪৩টি মার্কেটের মধ্যে ২০টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ আর আটটি ‘অতি নাজুক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অতি ঝুঁকিপূর্ণ আট মার্কেটের মধ্যে রয়েছে- গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, রায়েরবাজার মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার অস্থায়ী কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কারওয়ান বাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ভবন।

আরও পড়ুন: ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪২ সরকারি ভবন ভাঙতে চিঠি

অতি ঝুঁকিপূর্ণ এ আট মার্কেটের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গত এপ্রিল মাসে আড়তদারদের চিঠি দিয়েছিল ডিএনসিসি।

এমএমএ/এমকেআর/জিকেএস