দেশজুড়ে

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত জোড়া ডলফিন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ফের মৃত জোড়া ডলফিন ভেসে এসেছে। এর মধ্যে আট ফুট দৈর্ঘ্যর একটি ইরাবতী এবং তিন ফুট দৈর্ঘ্যের একটি নতুন প্রজাতির ডলফিন বলে জানা গেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পূর্বপাশে ঝাউবন এলাকায় ডলফিন দুটিকে দেখতে পায় কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য জুয়েল রানা।

এর আগে গত ৪ মে সৈকতের পর্যটন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় সাত ফুট লম্বা একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।

জুয়েল বলেন, সকালে সৈকত থেকে গঙ্গামতি যাওয়ার পথে ডলফিন দুটিকে এখানে পড়ে থাকতে দেখি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এগুলো জোয়ারের সঙ্গে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত যতগুলো ডলফিন ও তিমি মৃত অবস্থায় এসেছে তার মধ্যে এই ছোটটা একটু ভিন্ন প্রজাতির মনে হচ্ছে।

Advertisement

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির তথ্যমতে, চলতি বছরে চারটি এবং ২০২২ সালে ১৯টি মৃত ও জীবিত ডলফিন ভেসে এসেছে।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জাগো নিউজকে বলেন, আট ফুট লম্বাটা মূলত ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন। আর ছোটটি কোন প্রজাতির তা নির্ণয় করা কঠিন হচ্ছে। আমরা গবেষণা করছি, তবে মনে হচ্ছে এটিও ইরাবতীই হবে।

তিনি বলেন, ডলফিনগুলোর শরীরের প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ পচে গেছে। তবে এরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মারা গেলেও জোয়ারের প্রভাবে এক স্থান থেকে উঠেছে। সমুদ্রের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণীগুলো এভাবে মারা যাচ্ছে।

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

Advertisement

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআরআর/জেআইএম