জাতীয়

বিমানবন্দরে যুক্ত হলো তিন প্রযুক্তি

সেবা প্রদানের জন্য বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট তিনটি প্রযুক্তি চালু করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দরে যাত্রীদের সেবার জন্য ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস অ্যাপ, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে অ্যাভসেক আইডি সিস্টেম এবং বন্দরের আশপাশে ভবন স্থাপনের অনুমতি সহজ করতে হাউট ক্লিয়ারেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামের এ তিনটি প্রযুক্তি উদ্বোধন করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (১০ মে) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে এসব উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দেশের বিমান সেবাকে আরও সহজতর ও উন্নত করতে এ সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যা দৃশ্যমান। ক্রমেই দেশের পর্যটন ও বিমান খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে এ খাতের চিত্র। আমার বিশ্বাস এ শিল্প ২০২৪ সালে উন্নত বাংলাদেশ, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২০৭৫ সালে সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম আন্তর্জাতিক এভিয়েশন হাবে পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

এইচএসআইএ ডিজিটাল এয়ারপোর্ট সার্ভিস অ্যাপ

এ অ্যাপের মূল বৈশিষ্ট হলো বিমানবন্দরের যাত্রীদের সহজ ও আধুনিক উপায়ে সেবা প্রদান করা। বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি, এটুআইয়ের সহযোগিতায় এ মোবাইল এপ্লিকেশনটি তৈরি করেছে প্রাইম টেক সলিউশন, স্পিনফ স্টুডিং এবং ইনোভেশন টেকনোলজিস জেভি।

Advertisement

অ্যাপ সম্পর্কে স্পিনফ স্টুডিংর কর্ণধার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এ মোবাইল অ্যাপটি সব ধরনের তথ্য ও নির্দেশনা প্রদান করে একজন যাত্রীকে সহযোগিতা ও সেবা দিতে সক্ষম। এটি ব্যবহারে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা বিমানবন্দরে করণীয় সব পদক্ষেপের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেয়ে যাবেন। প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝে যে কারও সহযোগিতা ছাড়াই নিজে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। অর্থাৎ এ অ্যাপ ব্যবহারে প্রতিটি যাত্রী হয়ে উঠবের স্মার্ট।

এ অ্যাপ ব্যবহার করে একজন যাত্রী বিমানবন্দরের ভিতরে পরবর্তীতে কোনদিক দিয়ে কোথায় পৌঁছাতে হবে তার দৃশ্যমান নির্দেশনা পান। ভয়েস সুবিধা ব্যবহার করে বাংলা ও ইংরেজিতে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও নির্দেশনা পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইটের হালনাগাদ তথ্য, এয়ারলাইন্সসমূহের নাম ও যোগাযোগ, বহনের জন্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্রের তালিকা, শুল্ক করের তালিকা, লাগেজের নিয়ম, ইমিগ্রেশন বিধিমালা, গন্তব্য এয়ারপোর্টের বিধিমালা, স্বাস্থ্যবিধি, প্রবাসী কল্যাণ নির্দেশিকা ও সুবিধার তথ্য, বেল্ট এ লাগেজ না পেলে করণীয়, এয়ারপোর্টে অবস্থানকালীন খাবার, নামাজের স্থান, কেনাকাটা, ওয়াশ রুম, লাউঞ্জ, মুদ্রা বিনিময়, ট্যাক্সি, বিমানবন্দরের ম্যাপ সম্পর্কে তথ্য পাবে।

অ্যাভসেক আইডি সিস্টেম

এটি মূলত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য চালু করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা পাশ ব্যবস্থার উন্নয়নে এটি সার্বিকভাবে কাজ করবে।

এছাড়া অনলাইনে এ সিস্টেমের মাধ্যমে প্রবেশ পাশের আবেদন জমা, অবস্থান যাচাইসহ পাশ সংক্রান্ত অন্যান্য সব তথ্য পাওয়া যাবে। এ সিস্টেমে পাশধারী ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হবে স্মার্টকার্ড। যার মধ্যে যাত্রীর সব তথ্য, ফিংগার প্রিন্ট, ফেস প্রিন্ট থাকবে। গাড়ির পাশের ক্ষেত্রেও সংয়ক্রিয়ভাবে গাড়ির নাম্বার চিহৃত করা যাবে এ প্রযুক্তির মাধ্যেমে।

হাউট ক্লিয়ারেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কিত মোবাইল অ্যাপ

দেশের সব বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতারণে সুরক্ষার জন্য এ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এ অ্যাপের মাধ্যমে একজন ভবন নির্মাণে আগ্রহী আবেদন করতে পারবেন। যা যাচাই-বাছাইয়ের পর দ্রুততম সময়ে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

এ অ্যাপে সেবাগ্রহীতারা প্রয়োজনীয় উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন, যা এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।

এনএইচ/ইএ