জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব দিক থেকে প্রস্তুত আছি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সরকার সব দিক থেকে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। ‘মোখা’ সৃষ্টির পর এটি বিপুল শক্তিসম্পন্ন সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে, এর পর আগামী রোববার (১৪ মে) নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

Advertisement

বুধবার (১০ মে) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন প্রতিমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এসওডি (দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পূর্বাভাসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একটি জেলা কক্সবাজারই আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের নিম্ন এলাকা।

আরও পড়ুন>>> ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হতে পারে, রোববার আঘাত হানতে পারে কক্সবাজারে

Advertisement

৫, ৬, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, সিপিপিকে (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সতর্ক বার্তা প্রচারের জন্য। আমরা সব নির্দেশনা দিয়েছি চট্টগ্রামের যতগুলো উপকূলীয় উপজেলা আছে সেগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার জন্য বলেছি। আশ্রয় কেন্দ্রে খাওয়ার জন্য আমরা ১৪ টন ড্রাই কেক ও টোস্ট বিস্কিট পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামীকালের মধ্যে আরও ২০০ টন চাল চলে যাবে। আরও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য।

‘অর্থাৎ আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। ইনশাআল্লাহ প্রতিবারের মতো এবারও সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারবো। সশস্ত্র বাহিনী সবসময় আমাদের সহা্য়তা করে থাকে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী প্রস্তুত আছে, কোস্টগার্ড প্রস্তুত আছে।

আরও পড়ুন>>> ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মোখা’ কেন?

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারবো।

Advertisement

আরএমএম/এমআইএইচএস/জিকেএস