অনলাইনে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। প্রতিষ্ঠানটির ডেলিভারিম্যানের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
Advertisement
নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ অফিস ও এর কো-ফাউন্ডার আমবারিন রেজা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের সিদ্দিকীকে বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
বুধবার (১০ মে) জাগো নিউজকে ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ বলেন, ফুডপান্ডার রাইডারের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ডেলিভারিম্যান কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে- এর ব্যাখ্যা ও কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস চালুর জন্য বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশে বলা হয়, বিগত রমজানে আমার বাসায় খাবার সরবরাহ করতে গিয়ে চুরি করেন ফুডপান্ডার ডেলিভারিম্যান। কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষেয় লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে জবাব চেয়েছিলাম। গ্রাহক নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত আপনারা (নোটিশগ্রহীতাগণ) কোনো জবাব দেননি।
Advertisement
‘ফুডপান্ডা কীভাবে ডেলিভারিম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাদের অতীতের তথ্য কীভাবে যাচাই করছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য গ্রাহকদের কাছে নেই। এছাড়াও রাইডার বা ফুড ডেলিভারিম্যানদের মাধ্যমে কোনো অপরাধ হলে গ্রাহক হিসেবে ফোনে কখনো ফুডপান্ডাকে পাওয়া যায় না। শুধু তাদের একটা চ্যাটবক্স আছে সেখানে কোনো কিছু লিখে অভিযোগ জানানো যায়। তবে রাইডার বা ডেলিভারিম্যান যদি কোনো অপরাধ করেন সেই মুহূর্তে ইমারজেন্সি সার্ভিস হিসেবে ফুডপান্ডার কোনো সেবা দেওয়ার সুযোগ কেন থাকবে না?'
এতে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকা শহরে এক কোটির বেশির মানুষ বসবাস করছেন। ফুডপান্ডার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। শহরে প্রচুর পরিমাণে কর্মজীবী পরিবার রয়েছে। যারা হয়তো ছোট বাচ্চাদের বাসায় রেখে আসেন। গৃহিণীদেরও অনেকে বাসায় একা সময় কাটান। বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন। যারা হয়তো ডিজিটালি পেমেন্ট করে পণ্য নিচ্ছেন। পণ্যটা ডেলিভারিম্যান দিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিরাপত্তা কোথায়?
পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে তিনটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এক. যার বাড়ি থেকে রাইডার চুরি করে পালিয়েছে তাকে যেন অবশ্যই একটা ক্ষমা চেয়ে পত্র দেওয়া হয়। এটা যেকোনো কোম্পানির দায়িত্ব। কিন্তু তারা সেটি করেননি। ফুডপান্ডা নিজেও অপরাধী হয়ে গেলো এ কাজের মাধ্যমে। দুই. অভিযোগ শুনতে যেন একটি কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস চালু করা হয় বা একটা কন্ট্রাক্ট নম্বর দেওয়া হয়। যাতে করে গ্রাহকরা (কাস্টমাররা) তাদের অভিযোগগুলো জানাতে পারেন, এবং তিন. হয়রানির জন্য সিকিউরিটি হিসেবে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও রিট মামলা দায়ের করা হবে।
এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement