গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিট খারিজের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলম আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এম কে রহমান।
Advertisement
মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা নিয়ে রোববার (৭ মে) রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে আজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন>> রিট খারিজ, প্রার্থী হতে পারছেন না জাহাঙ্গীর
Advertisement
পরে জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী এম কে রহমান বলেন, ঋণ খেলাপির (সিআইবি) অভিযোগে রিটানিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। আপিলের পর বিভাগীয় কমিশনারও তা বহাল রাখেন। এরপর হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম।
আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, তিনি তো ঋণ নেননি। তাই খেলাপিও না, ছিলেন জামিনদার। আর দুইদিন পরে সিআইবি তালিকা স্থগিতও হয়। কিন্তু আদালতে ফাইন্ডিংস এসেছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ঋণ খেলাপের তালিকায় তার নাম ছিল। একারণে রিট সরাসরি খারিজ দেন আদালত। তবে জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন।
গত ৩০ এপ্রিল আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন> জাহাঙ্গীরের রিট নিয়ে যা বললেন হাইকোর্ট
Advertisement
মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন জাহাঙ্গীর আলম। ৪ মে বিকেলে সেই আপিল খারিজ করে দেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
আজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ৯ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম