জিনাত বুক সাপ্লাই নামের নিউ মার্কেটের বুক শপটি গত ১ মে বন্ধ হয়ে যাবার কথা ছিল। এখন ১৫ মে বন্ধ হয়ে যাবে। এই পনের দিন যে সময় বেড়েছে তার কারণটি গত ২৮ তারিখ শুক্রবার সেখানে কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে বুঝে এলাম। বুক শপটির মালিক সজ্জন সৈয়দ ফয়সাল ভাই শুধু আমাদের সুহৃদ নন, আমাদের পরিবারের সকলের অতি আপনজন। তাই তার এ দুঃসময়ে মনের ভেতর অনেক কষ্ট চেপে নিয়েও চিত্রা ও আমি সেদিন তাঁর কাছে যাই। কিন্তু সদা হাসি মাখা ফয়সাল ভাই তেমনি আগের মতো হেসে বললেন, ছেলে কই? ও না হলে তো আর তরকারিতে লবণ হয় না।
Advertisement
আমার ছেলেটি তরুণ। এখনো জানিনা পৃথিবীর কোন প্রান্তে, কোন পথে গিয়ে সে দাঁড়াবে! তবে তার পরেও একটি মানুষ তো আর শুধু পরিবারের সাপোর্টে বেড়ে উঠতে পারে না। সবারই শিশু বেলা, বালক বেলা,(বালিকা বেলা) তরুণ বেলা সব সময়ই পথে পথে নানান সুধীজনের সহায়তায় বেড়ে উঠতে হয়।
আমাদের মত ক্ষুদ্র মানুষ, আমারাও পৃথিবীর পথ চলে আজ যে ক্ষুদ্র গলিতে এসে দাঁড়িয়েছি- কত মানুষের স্নেহার্শীবাদ, পরামর্শ ও সহযোগিতা জড়ো হয়ে আছে তা হিসাব করাও সহজ নয়। যেমন যেখানে দাঁড়িয়ে আমি লিখি তার সামনের বইয়ের সেলফটির ডান দিকে তাকাতেই চোখে পড়ে অনেক পুরানো একটি বই, ‘শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত'। ছোট বেলা থেকে সকল মত ও পথের অনেক বই পড়েছি বা পড়তে হয়েছে- কিন্তু কেন যেন রামকৃষ্ণকে পড়তে ভালো লাগতো না। বিবেকানন্দ আমাকে অনেক বেশি টানতো।
যা হোক, অনার্স শেষ হয়ে গেছে। সন্ধানীতে গাজী শাহাবুদ্দিন ভাইয়ের ওখানে বসে এ সময়ে হঠ্যাৎ কবি সাইয়ীদ আতিকুল্লাহ ভাই ঢুকে আমাকে দেখে বললেন, এই তুমি রামকৃষ্ণ কথামৃতটা মনোযোগ দিয়ে পড়বে। আছে তোমার কাছে বইটি? বললাম, না। তিনি সন্ধানীর পিওনকে টাকা দিয়ে প্রেসক্লাবের উলটো দিকে তখন হাক্কানির শো রুম ছিল, সেখান থেকে বইটি আনিয়ে দিলেন। তারপরে তার স্বভাব সুলভ নির্লিপ্ত গলায় বললেন, তোমার ভাষাটা অনেকটা সহজ সরল। রামকৃষ্ণ পড়লে তোমার ভাষা আরো সহজ সরল হবে। সহজে কীভাবে বলতে হয় তা শিখতে হলে রামকৃষ্ণ পড়া দরকার।
Advertisement
আমার ছেলেটিকে শিশু বেলা থেকে তরুণ বেলা অবধি এমনি অনেক উপদেশ, অনেক বই পড়ার ও কেনার সাজেশান দিয়েছেন ফয়সাল ভাই। সে তার ইচ্ছে মতোই শিশুকাল থেকেই যতদিন কৈশোর ও তারুণ্যের প্রথম ধাপ অবধি তাঁর বুক শপ থেকে বই নিয়ে এসেছে। যখন যেভাবে পারি ফয়সালভাইকে তাঁর বইয়ের দাম শোধ করেছি। আর দেখেছি তাঁর শুধু আনন্দ ছেলেটি বই কিনছে। এমনকি আমার পরিচয় দিতে গিয়ে ফয়সাল ভাই একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকে বলেছিলেন, ওনাকে আমি চিনি। ওনার ছেলেটি খুব বই পড়ে।
নিজের কিছু কথা লিখলাম এ কারণে যে, ফয়সাল ভাইকে সেই সত্তর দশকের শেষ থেকে দেখছি তিনি সব সব সময়ই সবাইকে বই চিনতে সাহায্য করেন। কারণ, তিনি বুক শপে বসে সারাক্ষণই বইয়ের সিনোপসিস পড়েন। তাই প্রতিটি বই সম্পর্কে তার ধারণা থাকতো। এ কারণে রুচি ও চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে কার কোন বই পড়া দরকার সেটা তিনি বোঝেন।
জিনাত এক সময়ে অনেক বেশি বাংলা বই বিক্রি করতো। তারপরে ধীরে ধীরে ইংরেজি বইয়ের শপ হয়ে গেলো। তারও অন্যতম কারণ ছিল পাইরেসি শুরু হওয়া। তখন বাংলা বই পাইরেসি হতো। এক শ্রেণির পাবলিশার্সরা এই পাইরেটেড বই বিক্রি করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন ফয়সাল ভাই বলছেন, পাইরেসি ও ট্যাক্সের কারণে তাঁর বইয়ের দোকানটি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
পাইরেসি মানেই কম দামে বই পাবার সুযোগ। কম দামে বই পেলে যে এখনো জিনাত বুক সাপ্লাই থেকেও মানুষ বই কেনে তা সেখানে ২৮ তারিখ কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে বুঝতে পারলাম। ছোট পরিসরের বইয়ের দোকানটি ক্রেতায় ঠাসা। বাইরেও ক্রেতা। কারণ, সৈয়দ ফয়সাল এখন ভারতীয় এক রুপীর বই বাংলাদেশের ষাট পয়সায় দিচ্ছেন। অর্থাৎ কম দামে বই পেয়ে মানুষ সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বই কেনার জন্যে।
Advertisement
বাস্তবে অনেক মানুষেরই সাধ থাকলেও বই কিনতে পারেন না তা কিন্তু টাকার অভাবে। সাধারণত সব সমাজে বই কেনেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ম মধ্যবিত্ত। এই দুই শ্রেণিই সব দেশেই সব সময়ই সীমিত আয়ের মধ্যে চলেন। তাই তারা মাস শেষে খুব বেশি টাকা বই কেনার জন্যে বাঁচাতে পারেন না। আর শুধু বইয়ের ক্ষেত্রে নয়, মধ্যবিত্তকে সব সময়ই খুঁজতে হয় কোথায় গেলে এক টাকা কমে একটা জিনিস পাওয়া যায়। এবং এ শুধু বাংলাদেশী নয় সব দেশেরই মধ্যবিত্তের বই কেনার জন্যে এ কাজটি করতে হয়।
যেমন দিল্লিতে আমি সময় বের করতে পারলেই কোন না কোন বুক শপে সময় কাটাই। এইসব শপে দেখেছি আমেরিকা, ব্রিটেন , ফ্রান্স ও কানাডার নাগরিকরা সেখান থেকে প্রচুর নন ফিকশন কিনছেন। যেগুলোর মূল প্রকাশক তাদের দেশেরই। তারা এখান থেকে কিনছেন তার কারণ, ভারতে এই বইগুলো ছাপা হয় শুধু সাউথ এশিয়াতে বিক্রি'র জন্যে। এবং যে বইয়ের দাম তিরিশ ডলার বা ২০ পাউন্ড তা মাত্র কয়েক'শ রুপি দামে ভারতে প্রকাশিত হয় শুধু মাত্র সাউথ এশিয়াতে বিক্রির জন্যে। তাই আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যবিত্তরা দিল্লিতে এলে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিয়ে বই কেনেন।
ফয়সাল ভাইও আমাকে বুঝিয়েছিলেন, বইয়ের দাম কমলে মানুষ বই কিনবে। এবং দেশে আরো বেশি বই বিক্রি হবে। সাংবাদিকতা পেশার কারণে বহু ধরনের মানুষের সঙ্গে মেশার ভেতর দিয়ে বুঝেছি, আসলে বইয়ের দামের কারণে অনেকেই বই কিনতে পারেন না। ফয়সাল ভাই আমাকে ২০০৯ এর দিকে হিসেবে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশে যে বই আমদানী হয় তাতে সরকার ট্যাক্স পায় মাত্র ৩০ কোটি টাকা। তাই এই ট্যাক্সটা তুলে দিলে ভারতে প্রকাশিত সাউথ এশিয়ান এডিশানের এ সব বইগুলোর দাম সঙ্গে সঙ্গেই ৫০০ রূপির বই হয়তো ছয়শো টাকা হবে। এমনকি কোন কোন ৫০০ রূপির বই ৬'শ টাকারও কম হবে। কারণ, পাইকারি বই কিনলে কখনও কখনও ২০% এর ওপর কমিশন দেয়। অথচ এই ট্যাক্স থাকার কারনে এখন ওই বইয়ের দাম বারোশো টাকারও বেশি।
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী, শুধু পন্ডিত ব্যক্তি নন, বই পাগল একজন মানুষ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ভাই এর সঙ্গে দিনের পর দিন আলোচনা করতে থাকি। এবং এই আলোচনা ও কিছু প্রাকটিকাল ওয়ার্ক করার ভেতর দিয়ে দেখা গেলো, ৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স যদি তুলে দেয়া হয় অর্থাৎ সরকার যদি ৩০ কোটি টাকা লোকসান মেনে নেয়- তাহলে দেশে ক্লাসের বইয়ের বাইরে বিভিন্ন চিন্তার বই পড়ার পরিমাণ ক্রমে যা বাড়তে থাকবে তাতে পাঁচ বছরে দেশ ‘নলেজ ক্যাপিটাল' পাবে দেড় লাখ কোটি টাকার। এবং এটা পরবর্তী পাঁচ বছরে জ্যামিতিক হারে বাড়বে।
মুহিত ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা ও কাজ করার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে জনমত গড়ার জন্যেও বেশ কয়েকটি লেখাও লিখি। তারপরেও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০১৬তে এসে মুহিত ভাই বাজেটে বই আমদানীর ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য বলবো না, এটাই আমাদের বাস্তবতা- মুহিত ভাই এক বছরের বেশি তাঁর অবস্থানে টিকে থাকতে পারলেন না। তাকে বাধ্য হতে হলো পরের বছর আবার ট্যাক্স আরোপ করতে বই আমদানীর ওপর। অর্থাৎ আমাদের সেই সামাজতান্ত্রিক মানসিকতার নামে সুবিধাবাদ। দেশীয় প্রকাশনা টিকিয়ে রাখতে হবে। অর্থাৎ দরজা- জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতর একা একা বড় হতে হবে। কিন্তু কেউ লক্ষ্য করে না, ঘরের ভেতর একটা সবুজ ঘাস রেখে দিল সূর্যের আলো ও প্রকৃতির বাতাস ছাড়া সে একদিন শাদা হয়ে যায়।
তার শরীরের সকল ক্লোরোফিল চলে যায়। আমাদের প্রকাশনা শিল্পের ক্লোরোফিল যে চলে গেছে তা এখন একুশের বই মেলায় গেলে কারো বুঝতে কষ্ট হয় না। এমনকি সামনে উদাহরণ থাকতেও বুঝি না এই প্রটেকশান দিতে গিয়ে এক সময়ে যে পূর্ব পাকিস্তানের সিনেমা কোলকাতার বাংলা সিনেমা ও করাচির উর্দু সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিতো- এখন তা কাদের খাদ্য সে কথা আর উল্লেখ নাই বা করি।
অনেকে বলতে পারেন, এখন সফট কপি বই পাওয়া যায়। তাছাড়া বই রাখার জায়গাও কমে যাচ্ছে। মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে বাড়িভাড়া। এ সময়ে মানুষ কেন বই কিনবে? আসলে স্থান সংকুলান নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, বাস্তবে আমাদের সমাজের ধারাটাই এমন এখানে বাসায় অনেক তৈজসপত্র, অনেক বিলাস দ্রব্যের স্থান হয় কিন্তু বই আর আরেকটি প্রয়োজনীয়তার স্থান হয় না।
এটা মানসিক গঠনের বিষয়। সমাজের মননকে সেভাবে গঠন করা হচ্ছে না। আর সফট কপি বই এখন প্রত্যেকেই ডাউনলোড করেন। কিন্তু এটাও তো সত্য চোখের দৃষ্টি শক্তি কয়েক ঘন্টার বেশি স্ক্রিনের দিকে রাখা যায় না। তাই সফট কপি ও হার্ড কপি দুটোই পাশাপাশি চলছে এখনও । হয়তো আরো অনেকদিন চলবে।
তবে এই বইয়ের দাম ও সমাজের মনন গঠনের বাইরেও বই কেনা কমে যাবার আরো অনেকগুলো বিষয় আছে। সব জানা সম্ভব নয়। এগুলো গবেষণার বিষয়। তবে তারপরেও যেগুলো মোটা দাগে দেখতে পাই, যেমন আগে সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডে বই কেনার জন্যে, বিদেশী পত্র পত্রিকা কেনার জন্যে বেতনের সঙ্গে একটা বরাদ্দ ছিলো। এখন যারা ওয়েজ বোর্ড করেন তাঁরা এ বিষয়টিতে কতটা নজর দেন আমি জানিনা। তবে পত্রিকার দ্বায়িত্বে থেকেও আমি কোন সাংবাদিককে এই অর্থ দিতে পারিনি এটা আমি জানি।
বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ শিক্ষকরা তাদের বেতনের সঙ্গে সঙ্গে কতটাকা বই কেনার জন্যে পান আমার জানা নেই। তবে ছোট বেলায় আমাদের জেলা শহরে কারেন্ট বুক স্টলে গেলে দেখতাম ওই শহরের কলেজের সব বড় বড় প্রফেসরা দাঁড়িয়ে আছেন, নিউজ উইক, টাইম এর বান্ডিল খোলার অপেক্ষায়। তেমনি ইউরেকা, মনীষা প্রভৃতি বুক স্টল গুলোতে সাধারণত বই গুলো এসে পৌঁছাতো রোববারে, না ওইদিন ছুটির দিন ছিলো বলে বইয়ের প্যাকেটগুলো খোলা হতো তা ঠিক জানিনা।
সেখানেও ওই শিক্ষকগণসহ শহরের নাম করা আইনজীবী ও গণ্যমান্য কাকাবাবু, জ্যাঠামহাশয়, চাচাজান ওনারা দাঁড়িয়ে থাকতেন। ওনারা চলে গেলে তারপরে আমরা ছোটরা ঢুকতে পারতাম। কখনও কখনও এজন্য ভোগান্তিও হয়েছে। দূরে দাঁড়িয়ে দেখে যে বইটি পছন্দ হতো, হয়তো কখনো দেখতাম তার সবগুলো কপি ওনারা কিনে নিয়ে গেছেন। অনেক সময় ওই বইয়ের লোভ সামলাতে না পেরে তখনকার দিনে পাঁচ সিকা বাস ভাড়া দিয়ে দেড় ঘন্টায় অন্য জেলা শহরে গিয়েও সে বই এনেছি। এই সমাজটা এখন কি আর সেভাবে আছে?
অন্যদিকে আগে সব চাকুরির সঙ্গে, পরীক্ষার রেজাল্টের সঙ্গে একটা নলেজের যোগ ছিল। এখন সব থেকে আকর্ষণীয় যে সরকারি চাকুরি। যার জন্যে কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় নেমে এসেছিল সব ছাত্ররা। সেই বিসিএস পরীক্ষাও কিন্তু প্রশ্ন ভিত্তিক, জ্ঞান ভিত্তিক নয়। আমি যতদূর জানি, একারণে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও এইচ টি ইমাম এঁনারা দুজনে দুটো রিপোর্ট তৈরির কাজে হাত দিয়েছিলেন, প্রশাসনকে কীভাবে আরও জ্ঞান ভিত্তিক করা যায় বা কতটা দরকার।
বাস্তবে সব পরীক্ষাকে প্রশ্ন ভিত্তিকের বাইরে জ্ঞান ভিত্তিক করলে স্বাভাবিকই একটি সমাজে ভালো বই পড়া বেড়ে যায়। আর যার ভেতর দিয়ে সমাজে প্রকৃত ‘নলেজ ক্যাপিটাল' বাড়ে। আর প্রকৃত নলেজ ক্যাপিটাল ছাড়া সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কি সম্ভব? তা যদি হতো তাহলে তো ফ্রান্সের থেকে সৌদি আরব উন্নত হতো?
যা হোক, আমার একজন সুহৃদ, অতি আপনজনের একটি বইয়ের দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে সেই ব্যথা থেকে এ দুকথা লেখা নয়। বাস্তবে সমাজের এ ইন্ডিকেটরগুলোকে অস্বীকার করে এগুলে ভবিষ্যতে আরও বেশি গর্তে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সপ্তম শতকের আফগানিস্তানের কবিতা এদেশের জ্ঞানী গুণীরা আমার থেকে অনেক বেশি পড়েছেন। কিন্তু আসলে ওই সময়ের ওই কবিতার সঙ্গে বর্তমান তালেবান শাসিত আফগানকে মেলালে কি গা শিউরে ওঠে না?
লেখক: সাংবাদিকতায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত।
এইচআর/জেআইএম